প্রকাশ : ২২ জুন ২০২১, ০৯:২১
চাঁদপুর শহরে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানদোকান উচ্ছেদ অভিযান শুরু
চাঁদপুর শহরের ব্যস্ততম সড়কে ভাসমান ভ্যানদোকান উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে চাঁদপুর পৌরসভা। গতকাল সোমবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুহাম্মদ সোহেল রানার নেতৃত্বে পৌর বাজার পরিদর্শক জাহেদুর রহমান এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পৌর বস্তি উন্নয়ন অফিসার চন্দ্রনাথ ঘোষ চন্দন, পৌর স্টাফ আবুল খায়ের মনুসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। অভিযান চলাকালে শহরের চৌধুরী মসজিদের সম্মুখ রাস্তা থেকে শুরু করে জোড়পুকুর পাড় পর্যন্ত সড়কের উপর ফলসহ কাঁচামাল বিক্রিরত ১৪/১৫টি ভ্যানগাড়ি আটক করা হয়। আটককৃত ভ্যানগাড়ি পৌরসভায় নিয়ে আসা হলে তা ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে আটককৃত ভ্যানগাড়ি দোকানদারগণ পৌরসভার সামনে জড়ো হতে থাকে। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা তাদের দাবি মেনে নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
|আরো খবর
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর মুহাম্মদ সোহেল রানা জানান, কয়েকদিন আগে আমরা পৌর মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের নেতৃত্বে পৌর পরিষদ শহরের ব্যস্ততম সড়কের যানজট নিরসনে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার লক্ষ্যে শহরের চৌধুরীঘাট ব্যবসায়ী সমিতি, ভ্যান চালক সমিতি, পালবাজার সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় বসি। তখন তাদেরকে অনুরোধ করি যাতে কেউ ফুটপাত দখল করে বা রাস্তার উপর ভ্যানগাড়ি রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ভ্রাম্যমাণ দোকানদারী না করার জন্যে। এছাড়াও পৌর মেয়র নিজে যাওয়া-আসার পথে ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের অনেক অনুনয়-বিনিনয় করেন যাতে কেউ ফুটপাতে দোকানদারী না করেন। কিন্তু তারা কেউই তা কর্ণপাত না করায় পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা কঠিন হতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা ফুটপাত দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে এই অভিযান অব্যাহত রাখবো এবং যে সকল ভ্যান বা মালামাল আটক করা হয়েছে তার বিষয়ে মেয়র যা সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।
পৌর বাজার পরিদর্শক জাহেদুর রহমান জানান, আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখেছি যারা ফুটপাতে এবং রাস্তার পাশে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে ব্যবসা করছে তাদের অধিকাংশই চাঁদপুরের বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা। তারা বাইরের এলাকা থেকে এসে শহরের রাস্তায় ভ্যান নিয়ে ফুটপাত ও রাস্তার পাশ দখল করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে তা হতে পারে না। তাদের কাছে স্থানীয় কিছু অসাধু লোক ভ্যানগাড়ি ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। আমরা এ সকল ভ্রাম্যমাণ দোকানদারকে রাস্তার উপর দোকান না করার লক্ষ্যে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করেছি। তাদেরকে সাবধান করার লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ব্যবসার পাল্লা বাটখারা বা ইলেকট্রিক স্কেল (ওজন করার যন্ত্র) আটক করেছি। কিন্তু তাতেও তারা পৌরসভার সিদ্ধান্ত না মানায় পৌর পরিষদ কঠিন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে। ফুটপাত দুখলমুক্ত করার লক্ষ্যে পৌর পরিষদের কর্মকর্তাগণ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।