প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুরে রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে প্রেসনোট চাই
গেলো মে মাসের শেষদিকে ঢাক ঢোল পিটিয়ে রেল কর্মকর্তারা জানান দিলেন যে, চাঁদপুর শহরে সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে রেলভূমিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এতে অবৈধ দখলদাররা আতঙ্কিত হলো। ঘূর্ণিঝড় রেমাল সে আতঙ্কে বাদ সাধলো। রেমালের পর উচ্ছেদ অভিযান হলো। কিন্তু আগ্রহী ক'জন গণমাধ্যম কর্মী সরেজমিনে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে ধার দেখতে পান নি। সাঁড়াশি অভিযান তো নয়ই, বরং তারা দেখলেন, উচ্ছেদের নামে অভিনয় হচ্ছে। তাদের মতে, এটা উচ্ছেদের নামে কার্যত প্রহসন হয়েছে।
মানুষ তো গুজবে কম-বেশি বিশ্বাস করে। তাই তো অনেকেই গুজব ছড়াতে বা রটাতে পিছপা হয় না। চাঁদপুরে রেলের উল্লেখিত উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে কিছু মানুষ যে গুজব রটিয়েছে, সেটি হচ্ছে : রেল কর্মকর্তা ও সঙ্গীয় কর্মচারী এবং ফোর্স উচ্ছেদ অভিযানে এসেছে ঠিকই, তবে পকেট ভারী করে চলে গেছে। ঘুষের টাকার পরিমাণ সম্পর্কে প্রমাণ সাধারণত থাকে না। তবুও ওয়াকিবহাল কেউ কেউ হলফ করার ভঙ্গিতে বলেছেন, পকেটে ঢোকা টাকার পরিমাণ প্রায় বিশ লাখ। এর সত্যতা নির্ণয় হতে পারে কেবল অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় কিংবা নিরপেক্ষ তদন্তে।
ধরে নিলাম, গণমাধ্যম কর্মীদের চাঁদপুরে রেলের উচ্ছেদ অভিযান দেখা ও অভিমত প্রকাশ করা সঠিক নয়। আর রটানো গুজবও ডাহা মিথ্যা। এ ব্যাপারে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য বা প্রেসনোট আসা দরকার, যেখানে চাঁদপুরে রেলভূমিতে অবৈধভাবে নির্মিত কতোটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, নামসহ তার বিবরণ এবং দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ থাকবে। এতে প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকর্মীদের অভিমত এবং কিছু মানুষের রটানো গুজবে জনমতে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন হবে। আর রেলওয়ের ভাবমূর্তি বহাল থাকবে। আমরা ইতিবাচক মানসিকতায় সেটাই চাই, আপাতত অন্য কিছু নয়।