বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬

ঐতিহ্যের ধারক নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্র : নতুন কমিটি, নতুন উদ্যম

নুর মোহাম্মদ মুন্না
ঐতিহ্যের ধারক নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্র : নতুন কমিটি, নতুন উদ্যম

‘নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্র’--যেখানে প্রতিটি ঘাম ঝরার গল্পে লুকিয়ে আছে গৌরব-গর্ব আর প্রতিটি জয়োল্লাসে জ্বলছে অনন্ত আশার আলো। সময়ের পথ বেয়ে এটি আজ শুধু একটি ক্লাব নয়, হয়ে উঠেছে এলাকার গৌরব ও ঐতিহ্যের প্রতীক। ১৯৮৫ সালে ক'জন স্বপ্নবাজ তরুণের হাত ধরে ক্লাবটির যাত্রা শুরু হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে ছিলেন সাতজন সাহসী ক্রীড়াবিদ : সোহেল রানা সোহাগ, মো. ওয়াহিদুর রহমান লাবু, আনোয়ার পারভেজ, শরীফ মো. আশরাফুল, হেলাল দেওয়ান, মো. মুরাদ এবং মাসুদুর রহমান মাসুম। এই ক্লাবটি মূলত দুটি স্তরে পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রথমত, উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা কমিটি, যা সাত প্রতিষ্ঠাতার দ্বারা গঠিত এবং দ্বিতীয়ত, কার্যকরী কমিটি, যা নির্দিষ্ট মেয়াদে গঠিত হয় ক্লাব পরিচালনার জন্যে।

নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্র গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিলো ক্রীড়া কার্যক্রমের প্রসার এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান রাখা। ক্রীড়াচর্চার মাধ্যমে যুব সমাজকে একত্রিত করা এবং সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখাও ছিলো এর অন্যতম মহৎ লক্ষ্য। প্রতিষ্ঠাতারাই এই ক্লাবের মূল স্তম্ভ ও ভিত্তি। তাঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্র অর্জন করেছে অভূতপূর্ব সুখ্যাতি। তাঁদের প্রতি রইলো গভীর কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও সাধুবাদ।

নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্র একটি নাম, যা ইতিহাসের পাতায় গৌরবের স্বাক্ষর রেখে চলেছে।

নাজিরপাড়ার ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবান্ধব কালচারটি বহু পুরোনো, যার শিকড় জেনেটিক্যালি বহু আগে থেকেই স্থাপিত। আমি নিজেও এ পাড়ার সন্তান। জন্ম এ পাড়াতেই, ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছি এর আনাচে-কানাচে। পাড়াটিকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবান্ধব হিসেবে দেখে আসছি শৈশব থেকেই। বছরের শেষান্তে উৎসবমুখর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক, শিশুদের কবিতা আবৃত্তি, নাটক মঞ্চায়ন, পুরস্কার বিতরণ, ক্রীড়া আয়োজন, ফুটবল প্রতিযোগিতা, ট্রফি, সিল ও মেডেল বিতরণ, খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন—সব মিলিয়ে এ পাড়া ছিলো উচ্ছ্বাসে ভরপুর। প্রতিবার এই আয়োজনশেষে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম আগামী বছরের জন্যে, আবার কবে আসবে সেই দিন।

এ পাড়ায় যারা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন বিশিষ্ট ফুটবলার জনাব মুসা। তিনি চাঁদপুরের সুপরিচিত ফুটবলার ও কোচ জনাব মফিজুর রহমান (ফুটবল অঙ্গনে দাদা নামে পরিচিত)-এর ছোট ভাই। দীর্ঘদিন তিনি আমেরিকায় অবস্থান করছেন। তাঁর নাম এখনও পাড়ার বয়োজ্যেষ্ঠ থেকে তরুণ-তরুণীদের মুখে উচ্চারিত হয়। পাড়াকে একটি সুশৃঙ্খল সমাজ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর অভূতপূর্ব অবদান রয়েছে। সন্ধ্যার পর পাড়ার শিশু-কিশোরদের ঘরে ফেরানো, পড়ার টেবিলে বসানো, কেউ বাইরে আছে কিনা তা তদারকি করা এবং ভালো রেজাল্টের জন্যে পুরস্কার ও ভ্রমণের উদ্যোগ নেওয়াÑএসব তাঁর দৃষ্টান্তমূলক কাজ। তাঁর এই স্পিরিট আজও বহন করছে নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্র।

এই ক্লাবের প্রতিটি সাফল্যের পেছনে রয়েছে ক্রীড়াপ্রেমী কিছু মানুষের অবদান, যাঁরা একসময় ক্লাবের ভিত্তি শক্ত করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলেন মরহুম ডা. মো. এ কিউ রুহুল আমিন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ইকরাম চৌধুরী, ফুটবলার ও কোচ জনাব মফিজুর রহমান, ফুটবলার ফারুক, জাহিদুর রহমান, জনাব কালু দেওয়ান, মরহুম নুরু দেওয়ান এবং মরহুম রাজ্জাক চৌধুরীর মতো ক্রীড়াকে ভালোবাসা গুণীজন। তাঁদের অবদান আমরা কখনও ভুলবো না, এটাই ক্লাবের তরুণ প্রজন্মের ব্রত।

নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্রের গৌরবময় সাফল্যের কাহিনিতে সোহেল রানা সোহাগের অবদান এক অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করে। ক্লাবটির উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে অন্যতম হলো বাফুফে কর্তৃক নিটল-টাটায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া এবং নিটল-টাটার জাতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ে অংশগ্রহণ। ক্লাবটি ১৯৯৭ সালে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগের মাধ্যমে উচ্চ পর্যায়ে যাত্রা শুরু করে। ১৯৯৮ সালে ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগে ক্লাবটি মাসুদুর রহমান মাসুমের অধিনায়কত্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

এরপর, ১৯৯৯ সালে ১ম বিভাগ লীগে কোয়ালিফাই করে অংশগ্রহণ করে ক্লাবটি। ঠিক পরের বছর ২০০০ সালে সোহেল রানা সোহাগের অসাধারণ নেতৃত্বে ক্লাবটি ১ম বিভাগ লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়। এই ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ফুটবল লীগে ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এখানেও সোহেল রানা সোহাগ অধিনায়কের ভূমিকায় ছিলেন, আর সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন ওয়াহিদুর রহমান লাবু। এই জয়ের পেছনে তাঁদের নেতৃত্ব ছিলো অসামান্য। ওই অর্জনের ভিত্তিতে ক্লাবটি নিটল-টাটা ফুটবল লীগে কোয়ালিফাই করে, যা আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সোহেল রানা সোহাগের নেতৃত্বে ক্লাবটি আরও একধাপ এগিয়ে যায়। ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ক্লাবটি রানারআপ হয়, যেখানে সোহাগের নেতৃত্বই ছিলো মূল চালিকা শক্তি। ২০১৬ সালে ক্লাবটি অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৭ সালে ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ক্লাব-কাপ ফুটবল লীগে ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ওইবার তিনি দলটির কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সোহেল রানা সোহাগ শুধু একজন খেলোয়াড় নন, বরং একজন অসাধারণ ক্রীড়াবিদ, কৌশলী নেতা এবং ক্লাবের সাফল্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।

তাঁর অবদান নিঃসন্দেহে নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্রের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি শুধু ক্লাবের নয়, পুরো পাড়ার গর্ব। তাঁর জন্যে ক্রীড়া জগত কৃতজ্ঞ এবং তাঁর কীর্তিগাথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

এছাড়া ক্লাবটির জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ২০১৪ ও ২০১৫ সালের ফুটবল লীগে অংশগ্রহণ ছিলো উল্লেখযোগ্য।

নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্রের সাফল্যের এই গৌরবময় অধ্যায়ে কিছু ব্যক্তিত্বের অবদান স্মরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা অনেকেই আজ আর আমাদের মাঝে নেই, তবুও ক্লাবের প্রতিটি সদস্যের হৃদয়ে, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় তাঁরা চিরজাগরুক। ক্লাবের প্রথম সভাপতি সাংবাদিক ও রাজনীতিক জনাব মুনীর চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব মুরাদ এবং সাবেক পৌর কমিশনার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম দেওয়ান আরশাদ আলীর নাম এ তালিকায় উজ্জ্বল। দেওয়ান আরশাদ আলী ক্লাবটির সভাপতির দায়িত্বও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছিলেন।

তবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো সাবেক ক্লাব সভাপতি মরহুম সফিক উল্লাহ সরকার। পাড়ার মানুষের বিশ্বাস, তাঁর নেতৃত্বে নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্রের সোনালি যুগের সূচনা হয়। চাঁদপুরের হাতে গোণা যে ক'টি ক্লাব নিজস্ব ভূমি ও অফিস কক্ষের মালিক, নাজিরপাড়া তাদের মধ্যে অন্যতম। এসব কৃতিত্বের মূলে ছিলো মরহুম সফিক উল্লাহ সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। তাঁর সময়কালেই ক্লাবটি সংগঠনের কাঠামো এবং কার্যক্রমে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে। ক্লাব সংশ্লিষ্ট সিনিয়রদের ভাষায়, তাঁর অবদান সত্যিই অনন্য এবং ভোলার নয়। নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্র তার প্রতিটি সাফল্যে এই মহান ব্যক্তিত্বদের স্মরণ করে এবং গভীর কৃতজ্ঞতায় জানায়, “তুমি রবে হৃদয়ে মম।”

নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্র ঐতিহ্যের গৌরব ধরে রেখে এগিয়ে চলেছে নতুন নেতৃত্বে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার বিকেল ৪টায় ক্লাবের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. আশরাফুল হকের বাসভবনে এক বিশেষ আলোচনা ও মতবিনিময় সভার মাধ্যমে ক্লাবের নতুন কমিটি অনুমোদিত হয়। যদিও পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া এখনও চূড়ান্ত হয়নি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদ ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। ক্লাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাকি পদগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সভায় ক্লাবের সব স্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাধারণ সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ও ক্রীড়া সংগঠক কাজী মাইনুল ইসলাম জীবন, সাংবাদিক ও নাট্যশিল্পী বিএম হান্নান, সাংবাদিক গিয়াসউদ্দিন মিলন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সংগঠক শরীফ মো. আশরাফুল হক, সংগঠক আনোয়ার পারভেজ, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব শিক্ষক মো. ওয়াহিদুর রহমান লাবু এবং শিক্ষক ও ক্রীড়াবিদ মো. মাসুদুর রহমান মাসুম। এছাড়া ক্লাবের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিক কাউসার চৌধুরী, স্বপন চৌধুরী, পারভেজ দেওয়ান, মো. মামুন দেওয়ান, বাতাস মিয়াজী, ফেরদাউস খান, এমরান হোসেন টিটু, নুরে আলম নয়নসহ আরও অনেকে। সকলের সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্ত হওয়া উল্লেখযোগ্য পদগুলো হলো : সভাপতি কাজী মাইনুল ইসলাম জীবন, সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. আশরাফুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল রানা সোহাগ, ক্রীড়া সম্পাদক মো. ওয়াহিদুর রহমান লাবু, অর্থ সম্পাদক মো. আনোয়ার পারভেজ ও সহ-সভাপতি ডা. মো. শফিউল্লাহ। বাকি পদগুলোর চূড়ান্তকরণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্রের সদস্যরা তাদের ঐক্য ও দায়িত্ববোধের মাধ্যমে যুবসমাজকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্ত করার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্লাবটির অবদান শুধু চাঁদপুর নয়, বৃহত্তর ক্রীড়া অঙ্গনেও প্রশংসিত।

সম্প্রতি ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া সোহেল রানা সোহাগ ক্লাবের সূচনালগ্ন থেকে সক্রিয় সদস্য হিসেবে সম্পৃক্ত থাকা কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন। তিনি বিশেষভাবে স্মরণ করেন শাম্মী, হুসাইন সুমন, আলাল, জুলফিকার সুমন, আহম্মদ আলী (বড়ো), আহাম্মদ আলী (ছোট), সেন্টু, আরিফ, সাথী, বেলাল, তারেক হাসান, তোফায়েল, এম আর ইসলাম বাবু, রনি, জসিম, নজরুলসহ আরও অনেককে। যারা ওই সময় ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ক্লাবের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

সোহাগ জানান, ভবিষ্যতে দুই প্রজন্মকে একত্রিত করতে এবং তাদের স্মরণে ক্লাবের একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই ম্যাগাজিন নতুন ও পুরোনো প্রজন্মের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নতুন কমিটির দায়িত্বগ্রহণের মাধ্যমে নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্রের কার্যক্রম আরও গতিশীল ও সৃষ্টিশীল হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ক্লাবের খেলার পরিধি বাড়ানো, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ খেলোয়াড় তৈরি করা এবং অবকাঠামো ও সুবিধাদি উন্নত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নতুন কমিটির সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা। সভাপতি কাজী মাইনুল ইসলাম জীবন এবং সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. আশরাফুল হক তাঁদের বক্তব্যে ক্লাবের ঐতিহ্য ধরে রেখে এটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাঁরা সকল সদস্যকে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

নতুন কমিটির মাধ্যমে ক্লাবের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হবে এবং এটি তার ঐতিহ্য, সাফল্য এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার উজ্জ্বল উদাহরণ তৈরি করবে। ক্লাবের প্রতিটি সদস্য ঐক্যের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে শক্তিশালী ও উন্নত সমাজ গঠনে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আন্তরিকতা ও একতাবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাঁরা নাজিরপাড়ার ক্রীড়াক্ষেত্রকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর অঙ্গীকার করেছেন। নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্র ক্রীড়াঙ্গনের একটি প্রতিষ্ঠিত নাম হিসেবে আরও সুসংহত হবে এবং ক্লাবটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে--এমনটাই সবার প্রত্যাশা।

নূর মোহাম্মদ মুন্না : নাট্যশিল্পী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়