প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৩০
হামলাকারীরা দেশের ও স্বাধীনতার শত্রু
হাজীগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পরিদর্শন করলেন মেজর (অঃ) রফিক
হাজীগঞ্জে সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পরিদর্শন করলেন হাজীগঞ্জ -শাহরাস্তির সংসদ সদস্য মেজর (অঃ) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।
|আরো খবর
শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং সেদিনের ঘটনার বর্ণনা শুনেন।
মেজর (অঃ) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। হাজীগঞ্জে গত ১শ ৫০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। আমি ঢাকায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলবো। আমাদের আইন শৃংখলা বাহিনী এ নিয়ে কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে এখানে অনেক কথা বলা যাচ্ছেনা। আওয়ামীলীগ হিন্দু সম্প্রদায়য়ের সাথে আছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অসম্প্রদায়িক রাজনীতি বিশ্বাস করে। আমাদের সংবিধানে বলা আছে, প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্ম পালন করার অধিকার রয়েছে এবং সে অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর সংবিধানিক দায়িত্ব।
তিনি প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিন ইউনিয়নের রামপুর চৌধুরী বাড়ির মন্দিরে যান। সেখান থেকে তিনি হাজীগঞ্জ বাজারের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, পৌর শশ্মানঘাট মন্দির ও শ্রী শ্রী রাজালক্ষী নারায়ন জিউর আখড়ায় যান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হাজীগঞ্জ পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব উল আলম লিপন, শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছরিন জাহান শেফালী, পৌর মেয়র আব্দুল লতিফ, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবীব অরুন, হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ খসরু, জেলা পরিষদের সদস্য হাজী জসিম উদ্দিন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রুহিদাস বনিক, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল প্রমূখ।
গত ১৩ অক্টোবর কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জ বাজারে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ৫জন নিহত হয়। সে সংঘর্ষের পর হামলাকারীরা বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালায়। সে ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানা ১০টি মামলা হয়।