প্রকাশ : ০১ মে ২০২৫, ১৯:২৪
বিষ্ণুপুরে নদীভাঙ্গন ও দুর্যোগ থেকে মুক্তি পেতে খতমে ইউনুসের আমল

চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে নদীভাঙ্গন ও নানা দুর্যোগ থেকে মুক্তির আশায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭৩ বার খতমে ইউনুসের বিশেষ আমল। মেঘনা ও ধনাগোধা নদীর করাল গ্রাসে এলাকাটির বহু ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও স্থাপনা দীর্ঘদিন ধরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ভাঙ্গনকবলিত এই জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া এখনো পৌঁছেনি।
এই পটভূমিতে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ধর্মপ্রাণ মানুষজন নিজেদের উদ্যোগে আয়োজন করেন ব্যতিক্রমী এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এতে ইউনিয়নের সকল মসজিদের ইমামগণ, মুসল্লি এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। খতমে ইউনুসের আমল অনুষ্ঠিত হয় দামোদরদী বকাউল বাড়ি জামে মসজিদ ও বিষ্ণুপুর জামে মসজিদে।
সকাল থেকে শুরু হওয়া এই আয়োজনে একযোগে ৭৩ বার খতমে ইউনুস পাঠ করা হয়। পরে মিলাদ, কিয়াম ও বিশেষ দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে আমলের সমাপ্তি হয়। এ সময় দেশ ও জাতির শান্তি, নদীভাঙ্গন থেকে মুক্তি ও এলাকাবাসীর নিরাপত্তা কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল হাই।
আমিরাবাদ গোলাম কিবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কামরুল ইসলাম খান জানান, নদীভাঙ্গন তাদের জীবনে চরম দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এমন সময়ে তারা আল্লাহর রহমত কামনায় এই ধর্মীয় উদ্যোগ নিয়েছেন।
এলাকাবাসী বলেন, “যেখানে মানুষের সহায়তা পাওয়া যায় না, সেখানে আমরা আল্লাহর দরবারেই আশ্রয় খুঁজি।” তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, টেকসই বাঁধ ও দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাবে।
দোয়া অনুষ্ঠানটি আয়োজন ও পরিচালনা করেন দামোদরদী বকাউল বাড়ি জামে মসজিদের সভাপতি মো. খোরশেদ আলম বাবুল মুখতার।
ছবির ক্যাপশন।। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে নদীভাঙ্গন ও নানা দুর্যোগ থেকে মুক্তির আশায় ৭৩ বার খতমে ইউনুসের বিশেষ আমলশেষে মোনাজাতরত ওলামায়ে কেরাম ও মুসল্লিগণ। পাশে নদীর তীরে অবস্থানরত এলাকাবাসী।