প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:২৪
রায়পুর-খাসেরহাট ৭ কি.মি. সড়ক বেহাল : নিজ অর্থায়নে সংস্কার করলেন যুবদল নেতারা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর-খাসেরহাট বাজার প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিলো গত ৫ বছর যাবত। চরমোহনা ইউনিয়নবাসী ও পথচারীদের চলাচলের কথা বিবেচনা করে উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি নাজমুল ইসলাম মিঠুর নির্দেশনায় ইউপি যুবদল নেতাদের অর্থায়নে সড়কটি সংস্কার করে দেয়া হয়েছে।
|আরো খবর
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পাটোয়ারী রাস্তার মাথা থেকে বংশী ব্রীজ ৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজ করা হয়।
ইটের কংকর ও বালু দিয়ে সড়কের বড়ো বড়ো গর্তগুলো ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হয়। সাধারণ শ্রমিকের পাশাপাশি চরমোহনা ইউনিয়ন যুবদল নেতা জালাল উদ্দিন রানার নেতৃত্বে ১৫-২০ জন কর্মী সংস্কার কাজে অংশ নিয়েছেন। এমন জনহিতকর উদ্যোগে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে সাধুবাদ জানান।
খুশবো আক্তার ও আয়মান বিন আজাদ নামে সিএনজি যাত্রী জানান, সড়কের বেহাল দশার কারণে চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও চরবংশী গ্রামের জেলে পরিবারের জন্যে।
বই ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান বলেন, গত ৫ বছর ধরে দুটি ইটভাটার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি বেহাল। তাদের ইট ও মাটি বহনকারী ট্রলি ও বড়ো গাড়ির কারণে আজকে এই অবস্থা। চরমোহনা ইউনিয়নবাসী এই সড়ক দিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
সিএনজি অটোরিকশা চালক আক্তার হোসেন জানান, শুকনো মৌসুমে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিলো। এখন তাদের যাতায়াত অনেক সহজ হবে।
সামাজিক সংগঠক জালাল উদ্দিন রানা বলেন, “রায়পুর-খাসেরহাট ও মোল্লারহাট বাজার সড়কের দুই প্রান্ত ভালো হলেও মাঝের অংশ খুবই খারাপ ছিলো। সংস্কারের ফলে এখন থেকে ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে।” এর আগে এ ধরনের উদ্যোগ কাউকে নিতে দেখা যায়নি। “শুধু সরকারের উপর নির্ভরশীল না হয়ে ব্যক্তিগতভাবেও মানুষের জন্য কিছু করা যায়, ইউপি যুবদল নেতারা সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন।”
রায়পুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও চরমোহনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, “এই সড়কটি উপজেলা শহরে যাতায়াতের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে এবং মেঘনার হাজারো জেলের মাছ পরিবহণ ও বাজারজাত করা হয়। প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কের মাঝের ৫ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বর্ষা মৌসুমে অনুপযোগী হয়ে পড়েছিলো। সংস্কারের জন্যে কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা হলেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই জনগণের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে আমার নির্দেশনায় যুবদলের নেতারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাস্তাটি সংস্কার করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের জনহিতকর কাজ অব্যাহত থাকবে।”