প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:২৯
হাজীগঞ্জে আত্মগোপনে থাকা দুলাল পাটোয়ারী প্রকাশ্যে

হাজীগঞ্জের ৬ নং বড়কুল ইউনিয়নের মহিউদ্দিন দুলাল পাটোয়ারী আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে চলে আসাতে আতঙ্ক বোধ করছে এলাকাবাসী। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তার নিজ বাড়ি, এলাকা কিংবা গ্রামের কোথাও দেখা যায়নি এই মহিউদ্দিন দুলাল পাটোয়ারীকে। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্যে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঝড় উঠেছে। তিনি ঐ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
কথিত আছে, তিনি বিগত সরকারের সময় বহুজনকে মিথ্যে মামলাসহ হয়রানি করেছে। মূলত সে কারণে স্থানীয়রা তার ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।
অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে একক আধিপত্য বিস্তার করে গ্রামের নিরিহ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করেছেন দুলাল পাটোয়ারী। পুলিশি ভয় দেখিয়ে অর্থ বাণিজ্য, এমনকি হত্যা মামলার আসামি পর্যন্ত করা হয়েছে। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি খেটে খাওয়া মানুষ থেকে সামাজিক ব্যক্তিরাও। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মধ্য দিয়ে ওই দিন আত্মগোপনে চলে যান মহিউদ্দিন দুলাল পাটোয়ারী ও তার ছেলে গোলাম কিবরিয়া পাটওয়ারী। এতেই স্বস্তি পান ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় ও এলাকার নিরীহ লোকজন। কিন্তু সেই স্বস্তি যেন বেশি দিন টিকছে না। আত্মগোপন ছেড়ে সম্প্রতি মহিউদ্দিন দুলাল পাটোয়ারী আবারো নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছেন। এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভুক্তভোগীসহ গ্রামের লোকজন। তবে তার ছেলে গোলাম কিবরিয়া পাটোয়ারী এখনো আত্মগোপনে রয়েছেন। সে একটি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
দুলাল পাটোয়ারীর ছবি দিয়ে গত রোববার (১৩ এপ্রিল ২০২৫) দুপুরে ‘সাইফ সাইফুল’ নামের একজন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি সচেতনতামূলক পোস্টে মহিউদ্দিন দুলাল পাটোয়ারীর ছবি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন, যা একাধিক শেয়ার হয়। এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাকে ও তার ছেলে গোলাম কিবরিয়া পাটোয়ারীকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্য, স্থানীয় ও এলাকাবাসীসহ এন্নাতলি গ্রামের লোকজন।
মহিউদ্দিন দুলাল পাটোয়ারীর বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।৷ ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইমাম হোসেন জানান, গত ১৭ বছর তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে অসংখ্য মানুষকে হয়রানি করেছেন। আমরা চাই, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেসব অভিযোগ তদন্ত করে যেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, বিষয়টি দেখা হচ্ছে।