প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
সড়কটি ফোর লেন করার দাবি যৌক্তিক
গত ২৫ ও ২৬ আগস্ট চাঁদপুরে দুদিনের সফরে এসেছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম। তিনি মতলব উত্তরের কৃতী সন্তান বলে প্রথমদিন বৃহত্তর মতলবে অর্থাৎ মতলব উত্তর ও মতলব উপজেলায় তাঁর সফরসূচি বহাল রাখেন। সন্ধ্যায় চলে আসেন চাঁদপুর সার্কিট হাউসে এবং প্রায় মধ্যরাত অবধি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিগণকে সৌজন্য সাক্ষাৎ দেন, ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন এবং মতবিনিমিয় করেন। পরদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে চাঁদপুর জেলার উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময়, সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ, মোলহেড পর্যটন এলাকা এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করে জনপ্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন। জেলা সদরের সফরসূচিতে জেলাব্যাপী উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্যে নানাজনের কাছ থেকে তিনি নানা প্রস্তাব পান এবং সেগুলো লিপিবদ্ধ করেন। এসব প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক লালমাই থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ফোর লেনে উন্নীতকরণ। এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল।
এ প্রসঙ্গে মেয়র জুয়েল প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের উদ্দেশ্যে বলেন, কুমিল্লা থেকে লালমাই পর্যন্ত সড়ক ফোরলেন করা হয়েছে। আর এটি বর্তমান সরকারের আমলেই কিছুদিন আগে সম্পন্ন হয়েছে। তাই আমার দাবি হচ্ছে, লালমাই থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত সড়কের বাকি অংশটুকু যেনো ফোর লেন করা হয়। এটি করা হলে এই অঞ্চলের চেহারাই পরিবর্তন হয়ে যাবে। চাঁদপুর তো এমনিতেই বিনিয়োগের দিক থেকে বাংলাদেশের অন্যতম উপযোগী অঞ্চল, সে সাথে সড়কটি যদি ফোর লেন করা হয়, তাহলে উক্ত উপযোগিতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। তখন শুধু দেশীয় উদ্যোক্তারা নয়, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা চাঁদপুর জেলায় বড় ধরনের অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে।
মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল তাঁর পৌর এলাকাকে মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় টেকসই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানানোর পাশাপাশি চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কটি ফোর লেনে উন্নীতকরণের যে দাবি জানিয়েছেন, তাতে তাঁর উদার মনোভাব ও দূরদর্শিতার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। সড়ক মানচিত্রে চট্টগ্রাম বিভাগে চাঁদপুর জেলার পুরো ভূখণ্ডটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এ ভূখ-ের ওপর দিয়ে চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকার মধ্যে একাধিক রূটে সংক্ষিপ্ত যোগাযোগই শুধু নিশ্চিত হচ্ছে না, চট্টগ্রামের সাথে বরিশাল ও খুলনা বিভাগসহ বেনাপোল স্থল বন্দরের সংক্ষিপ্ত যোগাযোগের সম্ভাবনা আবিষ্কার করে সেটিও কার্যকর করা হয়েছে ও হচ্ছে। এক্ষেত্রে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের গুরুত্ব অতীতের সকল সময়ের চেয়ে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়টি অন্য অনেক পর্যবেক্ষকের চেয়ে পৌর মেয়র জুয়েলের নিকট তুলনামূলকভাবে বেশিই ঠেকেছে। সেজন্যে তিনি সড়কটিকে ফোর লেন করার যে দাবি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর নিকট উত্থাপন করেছেন, সেটি যথার্থ ও যৌক্তিক বলে আমরা মনে করি। আমরা তাঁর এ দাবি পূরণে মাননীয় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীসহ পরিকল্পনা মন্ত্রী এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সর্বোচ্চ আন্তরিকতা প্রত্যাশা করছি।