রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

উদ্যোগটি ভালো, তবে কথা আছে

অনলাইন ডেস্ক
উদ্যোগটি ভালো, তবে কথা আছে

চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় সুফলভোগী জেলেদের মাঝে উপকরণ (বকনা বাছুর) বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ২১ ডিসেম্বর ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ গোলাম মেহেদী হাসান (জেলা মৎস্য কর্মকর্তা), মোঃ তানজিমুল ইসলাম (সদর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা) ও মোঃ আইয়ুব আলী বেপারী (ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, চাঁদপুর সদর)। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট অংশীজন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত। চাঁদপুর সদর উপজেলায় ১৪০ জন নিবন্ধিত জেলের মধ্যে উক্ত উপকরণ বিতরণ করা হবে। ১ম পর্যায়ে ১৬ জন পেলো এই উপকরণ। জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও জীবিকা অর্জনের মাধ্যম তৈরি করতে এ মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আমরা বলবো, নিঃসন্দেহে উদ্যোগটি ভালো। কিন্তু কথা হলো, যেসব জেলেকে বকনা বাছুর দেয়া হলো, তারা কি আইনমান্যতার সংস্কৃতি লালনকারী জেলে? তারা কি নদীতে নিষিদ্ধ সময়ে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার কাজ থেকে বিরত ছিলো? তারা কি প্রাপ্ত বকনা বাছুরগুলোকে সঠিকভাবে লালনপালন করে বড় করবে, না গোপনে বিক্রি করে দিবে? এসব সুবিধাভোগী জেলেকে কি মৎস্য বিভাগের লোকজন যাচাইবাছাই করে উপকরণ (বকনা বাছুর) দিয়েছে? উপকরণ দেয়ার পর কি মনিটরিং করবে? এসব প্রশ্নের জবাব যদি 'হ্যাঁ'সূচক হয়, তাহলে উদ্যোগটি নিয়ে কারো কোনো কথা নেই। কিন্তু অতীতের ন্যায় যদি জানা যায় যে, উপকরণপ্রাপ্ত কোনো জেলে আদৌ জেলেই নয়, প্রভাবশালী কারো তদবিরে কিংবা 'রামণ্ডরহিমের সন্ধি'তে তাকে দেয়া হয়েছে উপকরণ, তাহলে কথা উঠবেই। যেমনটি উঠেছিল বর্তমান জেলা প্রশাসকের পূর্ববর্তী জেলা প্রশাসকের সময়ে। যার ফলে তিনি তাৎক্ষণিক উপকরণ বিতরণ বন্ধ করে দেন। অতএব, সাবধান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়