প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে ‘মতলব উত্তরে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ নিহত’ শিরোনামের সংবাদে মাহবুব আলম লাভলু লিখেছেন, মতলব উত্তরে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ মোকশেদ পাটোয়ারী (৬৬) নিহত হয়েছেন। তিনি ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ডাকরকান্দি (রসুলপুর) গ্রামের বাসিন্দা। জানা যায়, গত ২৯ নভেম্বর বুধবার সকাল ৮টার দিকে সাহেববাজার থেকে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার সময় বারোহাতিয়া এলাকায় দোকানের কাছে গেলে একটি অটোরিকশা সামনে থেকে তাকে ধাক্কা দেয়। অটোরিকশা চালক সাহাবাজকান্দি গ্রামের আয়েত আলী মাঝির ছেলে বশির মাঝি। অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধ মোকশেদ পাটোয়ারী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা রেফার করেন। সেখানে সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। পরে তাকে বাড়িতে এনে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
এভাবে মতলব উত্তরে প্রায়শই অটোরিকশা বা অটোবাইক কিংবা অন্য কোনো যানবাহনের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এই তো সেদিন এক স্কুলছাত্রী প্রাণ হারিয়েছে অটোবাইকেই। এমন দুর্ঘটনা মতলব উত্তরে একসময় অনেক কম সংঘটিত হতো। বেড়িবাঁধ সড়কসহ অন্যান্য সড়ক মসৃণ হওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা বেড়েছে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন। তাদের মতে, সড়ক মসৃণ হলে একশ্রেণির আনকোরা চালক গতি এতোটা বাড়িয়ে দেয় যে, সেটি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তারা হারিয়ে ফেলে। এমতাবস্থায় তাদের হাতে দুর্ঘটনা ঘটা ছাড়া অন্য উপায় থাকে না।
হাজীগঞ্জ থেকে কচুয়া অভিমুখী সংক্ষিপ্ত সড়কটি যখন গর্তময় ছিলো, তখন যতো দুর্ঘটনা ঘটেছে, সড়কটি মসৃণ হবার পর তারচে' অনেক বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই সড়কে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে কতো কিশোর-তরুণ-যুবক চালক ও আরোহী প্রাণ হারিয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, তার হিসাব মিলানো কঠিন। এছাড়া অন্যান্য মসৃণ ও অধিক বাঁকওয়ালা সড়কে দুর্ঘটনা অনেক বেশি ঘটছে বলে লক্ষ্য করা গেছে। সেজন্যে মসৃণ সড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানগুলো চিহ্নিত করা কিংবা সড়কে গতি সীমিত করাসহ দুর্ঘটনা এড়ানোর বিষয়ে সতর্কতামূলক কিছু গুরুত্বের সাথে করাটা জরুরি বলে আমরা মনে করি। মসৃণতা ও বাঁক ছাড়া বিভিন্ন সড়কে দুর্ঘটনা বৃদ্ধিতে আর কী কী কারণ থাকতে পারে, সেটা নিয়ে ভেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবশ্যই কিছু না কিছু করা উচিত। কেননা সড়ক দুর্ঘটনা নিতান্তই চেয়ে চেয়ে দেখে সময় ব্যয় করার বিষয় নয় বলে সচেতন ব্যক্তিমাত্রই মনে করেন।