প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের শাহরাস্তি ব্যুরো ইনচার্জ মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল ‘শুরুতেই শাহরাস্তি বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের বাজিমাত’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে লিখেছেন, প্রথম বারের মত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ সাফল্যসহ ১৯টি জিপিএ-৫ অর্জন করেছে শাহরাস্তি বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। ফলাফল বিবেচনায় শাহরাস্তি উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৮ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করার পর ২০২৩ সালে প্রথম বারের মত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ৩৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৯ জন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ সাফল্য অর্জন করে। বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলটি এ বছর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় দলগত জারিগানে জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করে।
শাহরাস্তি উপজেলায় মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রসার ঘটাতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিব উল্লাহ মারুফ শাহরাস্তি বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রুপ স্টাডিসহ আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সকল বিষয়ে সঠিকভাবে পাঠদান করে আসছে। স্কুলটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা হাবিব উল্লাহ মারুফ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুল ইসলাম প্রধানীয়া জানান, ২০১৮ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। আগামীতে এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের বিদ্যালয় থেকেই রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার সার্বিক দিক-নির্দেশনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
ব্যাপক কর্মদক্ষতা, উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনায় শাহরাস্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে স্বীয় কর্মকালে হাবিব উল্লাহ মারুফ জনবান্ধব ও শিক্ষাবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে নিজের অজান্তেই নিজেকে এতোটা উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, মানুষের মুখে মুখে ও গণমাধ্যমের বদৌলতে তাঁর সুনাম পুরো জেলায় ছড়িয়ে পড়িয়েছিল। তাঁর অন্যতম কর্মকীর্তি শাহরাস্তি বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল। পার্শ্ববর্তী উপজেলা হাজীগঞ্জে মোটামুটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও শাহরাস্তি সহ নিকটবর্তী অন্য উপজেলাগুলোতে তা না থাকায় তিনি ভালো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার তাগিদে ভুগছিলেন। কিন্তু তাঁর সামর্থ্য তো ছিলো সীমিত, তবে ইচ্ছাশক্তি বা সদিচ্ছা ছিলো অপরিসীম। যে কারণে শাহরাস্তিতে বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাঁর স্বপ্ন সত্যে পরিণত হয়। এর পেছনে স্থানীয় বিদ্যোৎসাহী এমপি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম সহ অন্য অনেকের আন্তরিক সমর্থন ও সক্রিয় সহযোগিতার কথা তো না বললেই নয়। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় স্কুলটির আশাব্যঞ্জক ফলাফলে স্কুলটির উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠাতা হাবিব উল্লাহ মারুফের প্রয়াস যে সার্থকতায় প্রতিপন্ন হবার পথে, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। এজন্যে তাঁর পছন্দকৃত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম সহ দক্ষ শিক্ষকম-লীর নানা ত্যাগ শিকার ও নিরলস শ্রমের কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ও স্মরণযোগ্য। আমরা স্কুলটির জন্যে নিরন্তর শুভ কামনা করছি। এই স্কুলটির কল্যাণে শাহরাস্তি থেকে আগামীদিনে দেশগড়ার অনেক দক্ষ কারিগর বেরিয়ে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।