প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২২, ০০:০০
বুধবার চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে ‘প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিদ্যালয় মাঠে গরু-ছাগলের হাট’ শিরোনামে একটি সংবাদ। এ সংবাদে লিখা হয়েছে, দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কচুয়া উপজেলার তেতৈয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গরু-ছাগলসহ সাপ্তাহিক হাট বসানোর অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। এতে গরু-ছাগলের মলমূত্রের দুর্গন্ধ আর মাঠ কর্দমাক্ত হওয়ায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয় মাঠে গরু-ছাগলের হাট বসানোকে ঘিরে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানায়, প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম অর্থের বিনিময়ে এই হাট বসার বিষয়ে সহযোগিতা করেছেন।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়, তেতৈয়া আদর্শ মোল্লা মার্কেট নামে একটি গরু-ছাগলের হাট ২৪ হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে ইজারা নেন জনৈক জামাল হোসেন। দরপত্রের শর্তে উল্লেখ রয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে গরু-ছাগলের হাট বসানো যাবে না। কিন্তু জামাল হোসেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় সে নিময়-নীতি উপেক্ষা করে তেতৈয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গরু-ছাগলের হাট বসিয়েছেন। কচুয়ার ইউএনও বলেছেন, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ কোরবানির পশুর হাটের জন্যে ইজারা প্রদান করা হয়নি। তারপরও কোনো ইজারাদার স্কুল মাঠে হাট বসালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কচুয়ায় তো স্কুল মাঠে বসানো হয়েছে গরু-ছাগলের হাট, আর মতলবের মুন্সিরহাটে সড়কের অর্ধাংশ জুড়েই সেটি বসানো হয়েছে। গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে এই হাট নিয়ে সচিত্র শীর্ষ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যার শিরোনাম হয়েছে ‘মুন্সিরহাটে সড়কের ওপর পশুর হাট ॥ ভোগান্তিতে যাত্রীরা’। সংবাদটির সূচনায় লিখা হয়েছে, মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাবুরহাট-মতলব-পেন্নাই আঞ্চলিক সড়কের ওপর এক কিলোমিটার দীর্ঘ জায়গা জুড়ে কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়েছে। ৬ জুলাই বুধবার সকাল থেকে এই হাটের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে সড়কটিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী এবং অন্য যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাটটির ইজারাদার জহিরুল ইসলাম হাজরা বলেন, পৌরসভা থেকে প্রায় চার লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে সেখানে বৈধভাবে পশুর হাট বসিয়েছি। অতীতেও এভাবই সেখানে পশুর হাট বসেছিলো। মতলব পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন বলেন, গত ১০০ বছর ধরে ঐতিহ্যগতভাবেই ওই বাজারে সড়কের ওপর কোরবানির পশুর হাট বসছে। ইউএনও ফাহমিদা হক জানান, সড়কের ওপর পশুর হাট না বসাতে পৌর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারপরও সেটি বসানো হয়েছে।
আমাদের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী সড়কের ওপর কোরবানির পশুর হাট না বসাতে বললেও সেটি সকল স্থানে মানা হচ্ছে না। সেজন্যে কেউ কেউ টিপ্পনি কেটে বলেন, তিনি বলার জন্যে হয়তো বলেছেন, কিন্তু মানার জন্যে হয়তো বলেন নি। সে আলোকে কচুয়া ও মতলবের ইউএনও যথাক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে ও সড়কের ওপর কোরবানির পশুর হাট না বসানোর নির্দেশনাটি নিতান্তই দেয়ার জন্যে দিয়েছেন, না মানার জন্যে দিয়েছেন-সেটিও বিবেচনা ও বিশ্লেষণের বিষয়।