বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২২, ০০:০০

এমন শিক্ষা সফর আশাব্যঞ্জক
অনলাইন ডেস্ক

প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা স্বীয় কৃতিত্ব ও কর্মদক্ষতায় দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাদের সম্পর্কে জানা থাকলে এবং তাদের সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ থাকলে বস্তুত বহু উপকার পাওয়া যায়। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো সংগঠন তথা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন থাকে, সেটি নানাভাবে সমৃদ্ধ ও উপকৃত হয়। সরকারি সাহায্যের বাইরেও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের দানে-অনুদানে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক ধরনের উন্নয়ন সংঘটিত হবার বহু নজির রয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা যদি উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে প্রতিষ্ঠান প্রধান যদি এমন কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হন, তাহলে তাঁরা তাঁদের স্মৃতি বিজড়িত প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে কোনো প্রয়োজনে কমণ্ডবেশি ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে পেশাগত ও ব্যক্তিজীবনে যাঁরা সুপ্রতিষ্ঠিত, তাঁদেরকে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ গুণীজন হিসেবে মূল্যায়ন করে এবং আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেয়, তাহলে তাঁরা আত্মশ্লাঘা বোধ করেন। যে কাজটি খুব কম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই করে থাকে। এর কারণ হচ্ছে, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ কমণ্ডবেশি আত্মম্ভরিতায় ভোগেন। যারা উদার তারা এ কাজটি করেন আন্তরিকভাবে। চাঁদপুরে খুঁজে পাওয়া গেছে এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যার নাম দ্বারকা নাথ (ডি.এন.) হাই স্কুল। এ স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন। তিনি তাঁর স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশকে চলতি বছরের একুশে পদকপ্রাপ্তির পর স্কুলে আমন্ত্রণ জানিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন, যাতে তিনি যারপরনাই আনন্দিত হন।

প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ এমন সংবর্ধনার প্রতিদানস্বরূপ যে কাজটি করেছেন, সেটি কিন্তু আশাব্যঞ্জক। তিনি ডিএন হাই স্কুলের বর্তমান ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দকে শিক্ষা সফরের আমন্ত্রণ জানান তাঁর ইউনিভার্সিটিতে। শুক্রবার রাতে ইউনিভার্সিটির বাসযোগে রওনা দিয়ে আমন্ত্রণপ্রাপ্তরা ভোরে পৌঁছলে ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ তাদেরকে স্বাগত জানান। দিনভর ডিএন হাই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ইউনিভার্সিটির পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। উপাচার্য তাঁর সভাকক্ষে সফলকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন জানান, শুক্রবার ছিলো আমাদের স্কুলের জন্যে এক স্মরণীয় দিন। ভিসি স্যারের আমন্ত্রণে ওইদিন আমরা তাঁর ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষা সফরে গিয়েছি। এ ধরনের শিক্ষা সফর এই বিদ্যালয়ের জন্যে এই প্রথম। তাই আমরা ভিসি স্যারকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি জানান, আমাদের স্কুল থেকে ১৯৭৮ সালে এসএসসি পাস করেছন গৌতম বুদ্ধ দাশ। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটি (সিভাসু)-এর উপাচার্য। শুধু তাণ্ডই নয়, তিনি এবার দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক পেয়েছেন। এটা আমাদের জন্যে অত্যন্ত মর্যাদা ও গৌরবের। উল্লেখ্য, এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর বর্তমান উপাচার্য।

আমরা সিভাসুর উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ কর্তৃক তাঁর স্মৃতি বিজড়িত স্কুল ডি. এন. হাই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দকে তাঁর ইউনিভার্সিটিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে যে শিক্ষা সফরটি সম্পন্ন করিয়েছেন, সেটিকে আশাব্যঞ্জকই বলবো। কেননা এমনটি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে সাধারণত করেন না এবং এতোটা ঔদার্য ধারণ করার মহত্ত্ব অনেকে দেখান না। ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ নিজ শেকড়ের কথা ভুলেন নি বলেই প্রাগুক্ত মহত্ত্ব ধারণ করেছেন, যেটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ও স্মরণীয়। আমরা সর্বক্ষেত্রে তাঁর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়