বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

তারাবি চলাকালে পুলিশি টহল চাই

তারাবি চলাকালে পুলিশি টহল চাই
অনলাইন ডেস্ক

রমজান চলাকালে ঈদকে সামনে রেখে আমাদের দেশে অপরাধ প্রবণতা বাড়ে-পুলিশ তার পর্যবেক্ষণ থেকে এ কথা বলে থাকে। অথচ সকল মানুষের প্রত্যাশার অনুকূলে এ কথাটা এমন হওয়া দরকার যে, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে অধিক সওয়াবের প্রত্যাশায় ইবাদত-বন্দেগি বাড়ে এবং সেজন্যে অপরাধ প্রবণতা কমে। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতা হলো, রমজানে মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগি যেমন বাড়ে, একই সাথে সকল ধরনের দুর্বৃত্ত বা অপরাধীদের অপরাধ প্রবণতা বাড়ে। এমন বাস্তবতাকে সামনে রেখে পুলিশ সতর্ক থাকে, তারপরও অপরাধী/দুর্বৃত্তরা মাথাচারা দিয়ে উঠে এবং তাদের অপরাধ কর্ম বাড়াবার বহুমুখী পাঁয়তারা চালায়।

চাঁদপুর শহরে এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে, এমনকি দেশের সর্বত্র প্রসিদ্ধ ও মুসল্লিবহুল মসজিদগুলোতে পবিত্র রমজান উপলক্ষে হাফেজ নিয়োগ দিয়ে তারাবির নামাজে কোরআন খতমের ব্যবস্থা করা হয়। সেজন্যে রাত সোয়া আটটা থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এমন মসজিদগুলোতে এশা ও তারাবির নামাজ চলে। এ নামাজে অংশ নেয়ার নামে বাসা/বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলেরা। এরা এশার নামাজ এবং তারাবির বড় জোর ২-৪ রাকাত নামাজ পড়েই মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়ে এবং আশেপাশের এলাকায় দুষ্টামি/বাঁদরামি থেকে শুরু করে মারামারি ও নানা অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়ে। এদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের নামাজ আদায় কষ্টকর হয়ে পড়ে। অভিভাবকরা নামাজের কথা শুনে ছেলেদেরকে সরল বিশ্বাসে মসজিদে যাবার অনুমতি দেয়। আর এমন অনুমতির সুযোগে তাদের অনেকে নানা গরল কাজে অংশ নেয়।

গত ক’বছর আগে তারাবির নামাজ চলাকালে চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের সামনে ক’দিন ধরে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া চলে এবং একদিন বড় ধরনের রক্তপাতের ঘটনা ঘটে। তারপর পুলিশ অনেক বেশি সতর্ক হয় এবং তারাবি চলাকালে অব্যাহত টহল চালিয়ে নামাজ পড়ার নামে বাসা/বাড়ি থেকে বেরিয়ে অপকর্মে লিপ্ত কিশোর-তরুণদের পাকড়াও করে। এতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারাবি চলাকালে পূর্বের ন্যায় পুলিশি টহল না থাকায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় চাঁদপুর পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের মঠখোলা ও শিলন্দিয়া এলাকায় তারাবির নামাজ চলাকালে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের ২৫-৩০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া চালায় এবং এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালালে তিন কিশোর গুরুতর আহত হয়। এদেরকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় রেফার করেন। এ ঘটনার কারণে ওই রাতে স্থানীয় মসজিদগুলোতে তারাবির নামাজের ব্যাঘাত ঘটে।

এভাবে কিশোর গ্যাং এবং স্কুল পড়ুয়া অনেক কিশোর শিক্ষার্থীর উৎপাতে চাঁদপুর শহরের কিছু মসজিদে মুসল্লিরা তারাবির নামাজ মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারে না। এসব কিশোর নামাজকে সমীহ না করে মসজিদ সংলগ্ন স্থানে ফ্রি স্টাইলে বেপরোয়া মনোভাবে এমন সব কাজ করে যে, মসজিদ কমিটির লোকজন ও সাধারণ মুসল্লিরা এদেরকে কিছু বলার সাহস প্রদর্শন করে না। কেননা ২-৪ জন সাহস দেখাতে গিয়ে এদের হামলার শিকার হয়েছে। এমতাবস্থায় তারাবি চলাকালে পূর্বের ন্যায় পুলিশি টহল জোরদারের বিষয়টি মাথায় রাখার জন্যে পুলিশ সুপার ও চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়