প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১৭:১১
হাইমচর প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের পদত্যাগের হিড়িক
হাইমচরে প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিকদের পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ছত্রছায়ায় এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের সদস্য করে হাইমচর প্রেসক্লাবকে কলুষিত করায় এমন সিদ্ধান্ত নেন তারা।
|আরো খবর
গত ৫ নভেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাইমচর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠের ব্যুরো ইনচার্জ মোঃ মাজহারুল ইসলাম শফিক, প্রেসক্লাব সদস্য জি এম জহির, জাহাঙ্গীর হোসেন সিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জি এম ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেদ হোসেন দিপু, প্রচার সম্পাদক হাসান আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক শরীফ হোসাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদসহ প্রেসক্লাব থেকে পদত্যাগ করেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের জুন মাসে ২ বছরের জন্য কমিটি হয় হাইমচর প্রেসক্লাবে। এরপর থেকে কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোঃ খুরশিদ আলম প্রেসক্লাবের দায়িত্বশীল ও সংবাদকর্মীদের অপমান, অসম্মান, নির্যাতনের মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে সকলেই তার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলে। জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে সভাপতি খুরশিদ আলম। ২০২১ সালে কমিটির মেয়াদ উত্তির্ন হওয়ার পরেও সাধারণ সভা কিংবা কমিটি পুনর্ঘঠনে তালবাহানা শুরু করলে কার্যকরী কমিটির দায়িত্বশীল ও কর্মরত সাংবাদিকগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাধারণ সভা আহ্বান করতে বাধ্য করেন।
সাধারণ সভার পর থেকে খুরশিদ আলম তার সভাপতি পদ হারানোর অনিশ্চয়তায় নতুন ফরম বিক্রির মাধ্যমে ঠিকাদার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মনগড়া সদস্য করে নিজের দল ভারি করে।
আজ শুক্রবার নতুন সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে প্রেসক্লাবের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের ডাক দিলে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ পদত্যাগসহ অব্যহতি নেন।
পরিশেষে হাইমচর প্রেসক্লাবকে সর্বমহলে কলুষিত করে বিতর্কিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির অধিকাংশ দায়িত্বশীল-ই কোনো সংবাদপত্র কিংবা সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত না থাকায় এ কমিটি নিয়েও আলোচনা সমালোচনার ঝড় হাইমচরের সর্বমহলে।