প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৬
ফজিলতপূর্ণ রমাদ্বান
শেষ দশকের বেজোড় সংখ্যার গুরুত্ব

পবিত্র মাহে রমজানের শেষ দশক চলছে। এই শেষ দশকে এমন একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যেই রাতটিকে কোরআনের ভাষায় লাইলাতুল ক্বদর বলা হয়, যা ফার্সি এবং প্রচলিত বাংলা ভাষায় ‘শবে ক্বদর’ নামে অভিহিত। এই মহিমান্বিত রাতে মহাগ্রন্থ আল-কোরআন লাওহে মাহফুজ থেকে প্রথম অবতীর্ণ হয়। এই রাতেই আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার উপর কোরআন অবতীর্ণ হয়। ওহীর ফেরেশতা জিবরাইল (আঃ) এই রাতেই প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার কাছে প্রথম ওহী নিয়ে আসেন। এখন রমজানের এই মহিমান্বিত রাত, হাজার মাসের চেয়ে উত্তম ‘লাইলাতুল ক্বদর’ কোন রাতটিকে বলা হয়েছে সেটা জানার বিষয়। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু তাআ’লা আনহা বলেন, আমি একদিন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম- ইয়া রাসুলাল্লাহ ক্বদরের রাত কোনটি? জবাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে ক্বদর তালাশ করো।- বুখারী ও মুসলিম। এখন শেষ দশকের বেজোড় রাত হচ্ছে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ এবং ২৯ রমজানের রাত। এই বেজোড় পাঁচটি রাতের যে কোনো এক রাত ক্বদরের রাত হবে। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শবে ক্বদর নির্দিষ্ট না করার কারণ হচ্ছে উম্মত যেনো শেষ দশকে এসে রাত জেগে ইবাদত করে শবে ক্বদর লাভের আশায়। এটা উম্মতের জন্য অনেক বড় এহসান। আর শবে ক্বদর লাভের জন্যই শেষ দশকে ইতিকাফের বিধান দিয়ে দিয়েছেন।