প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৫, ২২:৪১
বিশ্ব শান্তি, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় শুক্রবার পুরাণবাজার গীতা মন্দিরে যজ্ঞানুষ্ঠান

বিশ্ব শান্তি, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং ৩৫তম বার্ষিক উৎসব ও অত্যাধুনিক সাজে সজ্জিত সংস্কারকৃত গীতা মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২৮ মার্চ ২০২৫) চাঁদপুর পুরাণবাজার ঘোষপাড়াস্থ শ্রীশ্রী গীতা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে শ্রী শ্রী যজ্ঞানুষ্ঠান।
বৃহৎ ধর্মীয় মহাসম্মেলনে পৌরোহিত্য করবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ধর্মীয় বক্তা চট্টগ্রামস্থ সীতাকুণ্ড আন্তর্জাতিক শংকর মাঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ যোগাচার্য্য পরমহংস শ্রী শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ।
এদিন সকাল ৭টায় ব্রহ্মমুহূর্তে মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন, মঙ্গলারতি, জাগরণী সঙ্গীত, প্রণব কীর্তন ও গুরু বন্দনা শেষে শ্রীশ্রী চন্ডী পাঠ। সকাল ৯টায় শুভারম্ভ হবে বিশ্বশান্তি, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠান চলাকালে দুপুর ১টায় দীক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক ভক্তদের মাঝে দীক্ষা দান করা হবে। বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে মহাপ্রসাদ বিতরণ। যজ্ঞানুষ্ঠান সম্পন্নে সহযোগিতা করবেন আন্তর্জাতিক শংকর মঠ ও মিশনের শ্রীমৎ স্বামী মুক্তানন্দ গিরি মহারাজ, শ্রীমৎ উত্তমানন্দ গিরি মহারাজ, শ্রীমৎ জগদীশ্বরানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, শ্রীমৎ রুপকানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী সচ্চিদানন্দ গিরি মহারাজ, শ্রীমৎ পুলকানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, শ্রীমৎ দয়ানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, শ্রীমৎ অরুণ ব্রহ্মচারী মহারাজসহ বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরের সাধু মহন্তগণ।
ধর্মীয় মহতী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ হাইমচর উপজেলা শাখার সভাপতি ও পুরাণবাজার ঘোষ পাড়াস্থ শ্রীশ্রী গীতা মন্দিরের সভাপতি বিবেকলাল মজুমদার। তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষ সকলের সানুগ্রহ উপস্থিতি কামনা করে বলেন, চাঁদপুরের ভক্ত-অনুরাগী ও ঘোষপাড়াবাসীর আন্তরিক সহযোগিতায় ১৩৯২ বঙ্গাব্দে চট্টগ্রামস্থ সীতাকুণ্ড আন্তর্জাতিক শংকর মঠ ও মিশনের প্রাণ পুরুষ পরম শ্রদ্ধেয় গুরুদেব শ্রীশ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন, যা চাঁদপুর জেলা শহরে একমাত্র গীতা মন্দির। আমরা বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ অনুসরণ করলেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে গীতাই একমাত্র প্রধান ধর্মগ্রন্থ ও পথপ্রদর্শক এবং মুক্তির উপায়। আজ সর্বত্র শান্তির লক্ষ্যে গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরই এই গীতা মন্দিরে দেশ-বিদেশের শত শত ভক্ত হৃদয়ের উপস্থিতিতে গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। একটি নাট মন্দিরের অভাবে আগত ভক্তদের রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে বসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করতে হয়। যা আমাদের অন্তরাত্মাকে ভীষণভাবে কষ্ট দেয়, কিন্তু আমাদের শত চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে আমরা একটি নাট মন্দির নির্মাণ করতে পারিনি। নাট মন্দির নির্মাণে আমরা জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। অনেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেন নি। অবশেষে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিকে গুরুদেবের অশেষ কৃপায় এবং গীতা মন্দিরের ভক্তদের আন্তরিকতা ও দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আমরা গীতা মন্দিরের পুনঃসংস্কারসহ নাট মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করি এবং গুরুদেবের কৃপায় তা কিছুদিন পূর্বে সম্পন্ন হয়। সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আমি সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অবশ্য এখনো মন্দিরের ভক্ত নিবাস, মহন্ত নিবাসসহ আরো অনেক উন্নয়নমূলক কাজ বাকি রয়েছে। আমি মনে করি, মন্দিরটি সকল সনাতনীদের। তাই সকলের প্রতি বিনম্র আবেদন থাকবে, আপনারা মন্দিরে আসবেন এবং এর উন্নয়নে ও সেবা পূজায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন।