৫ টাকার জন্য নারীকে ধাক্কা!

ঢাকা-দোহার সড়কে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা এবার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এক অটোরিকশাচালকের নিষ্ঠুর আচরণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

৫ টাকা কম দিতে চাওয়ায় জীবন ঝুঁকিতে! আজ সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মকসুদপুর থেকে এক নারী যাত্রী অটোরিকশায় উঠে জাহানাবাদ এলাকায় নামেন। নির্ধারিত ভাড়া ২০ টাকা থাকলেও, তার কাছে ছিল মাত্র ১৫ টাকা। তিনি চালককে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেন, কিন্তু চালক কোনো যুক্তিই শুনতে রাজি হননি।

চালক উত্তেজিত হয়ে ওই নারীকে জোরপূর্বক অটোরিকশা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন! এ ঘটনায় হতভম্ব স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে আহত যাত্রীকে উদ্ধার করেন।

এলাকায় উত্তেজনা, চালকের শাস্তির দাবি: ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অনেকেই চালকের এমন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, "আমরা প্রতিনিয়তই পরিবহন শ্রমিকদের হয়রানির শিকার হচ্ছি। কেউ ৫ টাকা কম দিলে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।"

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, "নারী যাত্রীটি বারবার অনুরোধ করছিলেন, কিন্তু চালক তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়নি, বরং ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এটা শুধু বাড়াবাড়ি নয়, বর্বরতাও!"

ভাড়া নিয়ে চরম নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানি নতুন নয়: স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই রুটে ভাড়া নিয়ে প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে চালকদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা দাবি করাই যেন নিয়ম হয়ে গেছে। অনেকে বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে সাধারণ যাত্রীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। পরিবহন খাতের নৈরাজ্য রোধে প্রশাসনের কঠোর মনিটরিং জরুরি। তারা দোষী চালকের শাস্তি এবং রুটে নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে, ঘটনার পরপরই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এগিয়ে এসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে, এলাকাবাসীর প্রশ্ন— এই ধরনের ঘটনা কি বন্ধ হবে, নাকি আবারও কোনো যাত্রীকে এমন হয়রানির শিকার হতে হবে?

ডিসিকে/এমজেডএইচ