প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২৩:০০
আজ শ্রীশ্রী শ্যামা দেওয়ালি কালী পূজা
আজ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী শ্যামা দেওয়ালি কালী পূজা। অনেকে এই দিনটিকে দীপাবলি কালী পূজা বলেও অভিহিত করেন। অমাবস্যার অন্ধকার দূর করে অর্থাৎ পাপার্জিত পরিবেশের অন্ধকার দূরীকরণের মধ্য দিয়ে দীপাবলির আলো ছড়িয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে শুভ শক্তিকে আহ্বান জানিয়ে সনাতনী ভক্তবৃন্দ এই পূজার আয়োজন করে থাকেন। দশভূজা শক্তিদায়িনী দেবী দুর্গা পূজার পর বহুরূপে পূজিত দেবী দুর্গাই শ্রীশ্রী শ্যামারূপে আজকের দিনে ভক্ত হৃদয়ে পূজিত হবেন। দেবীর পূজা সম্পন্নে ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে শ্রীশ্রী শ্যামা কালী পূজার। বিশেষ করে যে সকল মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন হয়েছে সেই সকল মণ্ডপ ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে এই পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে আয়োজকদের মনের আয়োজন ব্যাপক হলেও বাহ্যিক আয়োজনে তেমন প্রাচুর্যের দেখা মিলেনি।
|আরো খবর
আজ ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩৭ মিঃ ৫৪ সেঃ সময়ে অমাবস্যা শুরু হয়ে কাল শুক্রবার ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৫টা ৩৮ মিঃ ২০ সেঃ পর্যন্ত অমাবস্যা বলবৎ থাকলেও আজই মধ্যরাতে শ্রী শ্রী শ্যামা দেওয়ালী কালী পূজা শুরু হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণসহ নিজেদের মঙ্গল কামনা করে দেবী চরণে প্রার্থনা জানাবেন ভক্তবৃন্দ। পূজাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। পূজার ব্যাপকতা ছড়িয়ে দিতে ঢাক-ঢোল বাদ্য বাজনা সহকারে আজ দুপুরে সনাতনীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছেছে কালী মায়ের আশীবার্দকৃত পূজার থালা। প্রতিটি গৃহস্থ পরিবারই পূজার এই বিশেষ থালাকে মর্যাদা দিয়েছেন ভক্তি-শ্রদ্ধা সহকারে। কালী পূজা মধ্যরাতের পূজা বলে পূজার সময় ভক্তদের উপস্থিতি তেমন পরিলক্ষিত না হলেও পূজা শেষ ভোর রাত থেকেই ভক্তদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। তাদের মাঝে বিতরণ করা হয় পূজার প্রসাদ।
কালী পূজা একদিনের হলেও দর্শনার্থীর দর্শনের সুবিধার্থে অনেক স্থানেই পূজার পরদিন প্রতিমা দর্শনসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পূজার দিন প্রদীপের আলোয় আলোকিত করা হয় বসতঘরের চারিদিক। দূর হয় অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ। আলোকিত হয় হৃদয়াত্মা। শ্যামা দেওয়ালি কালী পূজার একদিন পরই অনুষ্ঠিত হয় অন্নকূট অনুষ্ঠান। অর্থাৎ আগামী ২ নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হবে সনাতনীদের অন্নকূট অনুষ্ঠান। এই দিন বিভিন্ন মন্দিরসহ অনেকের বাড়িঘরেই অনুষ্ঠিত হবে অন্নকূট অনুষ্ঠান। এইদিন সনাতনী ভক্তবৃন্দ শতাধিক ব্যাঞ্জন, তরিতরকারিসহ হরেকরকম মিষ্টিজাত দ্রব্য দিয়ে তাদের আরাধ্য দেবতার সন্তুষ্টি কামনায় ভোগরাগ নিবেদন করবেন। কামনা করবেন নিজেদের সুখ শান্তি আর ঐশ্বর্য। তবে চাঁদপুরে বিশেষ আয়োজনে পুরাণবাজার রামঠাকুর বাড়ি দোল মন্দির, পুরাণবাজার সার্বজনীন জগন্নাথ মন্দির, পুরাণবাজার ঘোষপাড়া গোবিন্দ মন্দির (ইসকন), পুরাণবাজার শ্রী শ্রী রাধা মুরারী মোহন জিউড় মন্দির, পুরাণবাজার মদনমোহন হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স, পুরাণবাজার শ্রী শ্রী গৌরনিত্যানন্দ মহাপ্রভুর আখড়া,নতুন বাজার এলাকায় শ্রী শ্রী কালীবাড়ি মন্দির, নতুনবাজার গোপাল জিউড় আখড়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে অন্নকূট অনুষ্ঠান এবং আগামী ৩ নভেম্বর রোববার ভ্রাতৃ দ্বিতীয়ার দ্বিতীয়া তিথির ৮টা ৪৫ মিঃ ২৫ সেঃ রাত্রিকালীন অনুষ্ঠিত হবে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠান। এইদিন দিদি বা বোনেরা ভাই বা দাদাদের কল্যাণ কামনায় যমদুয়ারে কাটা দিবেন দাদা ভাইদের কপালে ফোঁটা দানের মধ্য দিয়ে।
শান্তিপূর্ণ পূজা সম্পন্নসহ সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করেছেন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ। তারা পূজারিদের কল্যাণ কামনা করেন।