প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২১, ১০:৫৩
প্রায় অকার্যকর খালেদা জিয়ার লিভার, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বিদেশ যাওয়ার আকূতি
|আরো খবর
বিএনপি বলেছে, খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। এমন বাস্তবতায় দলের নেতা-কর্মীরা দলীয় নেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। তাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে গত বৃহস্পতিবারও সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, 'তাঁর রক্তে শর্করা অনেক বেশি। রক্তচাপ ওঠানামা করছে। বয়স হয়েছে ৭৬। এত রোগ, সাথে বয়স' - এসব বিবেচনায় বাংলাদেশে তার উন্নত চিকিৎসা সম্ভব নয়। এ জন্য দেশের বাইরে নিতে হবে। তাহলে তাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
খালেদা জিয়াকে ‘বাঁচাতে’ উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপি প্রধান জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই বিএনপি কিংবা খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকার সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ নমনীয় হয়ে আকূতি জানানো হচ্ছে কিন্তু বিদেশে নেয়ার অনুমতি তারা পায়নি। তার ওপর বেগম জিয়ার পাসপোর্ট নেই। তার পাসপোর্ট তৈরি হলেও এখনো হস্তান্তর হয়নি।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের পর দলের সিনিয়র নেতারা বৈঠক করেন। সবাই বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন। দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে নেতাকর্মীদের বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলের নেতাকর্মীরা নেত্রীর সুস্থতা কামনায় সবার দোয়া চেয়েছেন।
করোনা শুরুর পর খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে তাকে গত বছরের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তবে শর্ত ছিল, তাকে দেশেই থাকতে হবে। ওই আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে গেছে বলে নতুন আবেদন করতে হলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফিরতে হবে বলে যুক্তি দেখান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া ওঠেন গুলশানের বাসা ফিরোজায়। এরপর করোনায় আক্রান্ত হলে চলতি বছরের মাঝামাঝিতে তিনি প্রায় দুই মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এর চার মাসের মাথায় আবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে। ২৬ দিন হাসপাতালে কাটিয়ে বাসায় ফেরার পাঁচ দিন পর গত ১৩ নভেম্বর তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ অনশন কর্মসূচি : আজ শনিবার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাকে বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির উদ্যোগে ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশের জেলা ও মহানগরে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গণ-অনশন কর্মসূচি পালিত হবে। বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে গণ-অনশন কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ঢাকায় সকাল ৯টা থেকে ৪টা এই কর্মসূচি পালন করা হবে। আমরা যদি ভালো স্থান পাই সেখানে অথবা সবশেষে কোথাও না পাওয়া গেলে আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মসূচি পালন করব।