প্রকাশ : ০৮ মে ২০২২, ০০:০০
ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ
লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে ভিড় বাড়ছে
প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দের ঈদ উদ্যাপন করে ঢাকাণ্ডনারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের নানাস্থানে ফিরতে শুরু করেছে চাঁদপুরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছুটি কাটিয়ে মানুষ এখন ফিরছে জীবন-জীবিকার উদ্দেশ্যে। নির্বিঘেœ ঈদযাত্রার পর এবার তারা কর্মস্থলে ফিরছে রেল, সড়ক ও নৌপথে।
|আরো খবর
ঈদুল ফিতরের ছুটির পর বৃহস্পতিবার অফিস-আদালত খুলে যাওয়ায় অনেকেই এদিন কর্মস্থলে চলে যান। মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়। বৃহস্পতিবার থেকে কর্মস্থলে মানুষের যাত্রা শুরু হয়। শুক্রবার ও গতকাল শনিবার লঞ্চঘাট রেলস্টেশন এবং বাসস্ট্যান্ডে মানুষের ঢল লক্ষ্য করা যায়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পরিবার নিয়ে গ্রামে ঈদ কাটিয়ে হাসিমুখে মানুষ কর্মস্থলে যাবার জন্য রওনা হচ্ছে। এবার ঈদযাত্রায় রেল, সড়ক ও নৌপথে মানুষের তেমন ভোগান্তি হয়নি। তবে লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের উপচেপড়া ভিড় ও শহরের গুরুত্বপর্ণ পয়েন্টে যানজট দেখা যায়।
দু বছর পর এবার ঈদে বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রামে ফেরেন। দুই বছর পর ঈদগাহে এবার ঈদের নামাজ হয়েছে। গত মঙ্গলবার ঈদ হলেও এখনো রয়েছে সেই আমেজ। কিন্তু ঈদের আমেজের মধ্যেই বৃহস্পতিবার অফিস খোলায় কর্মস্থলমুখী হয়েছেন কর্মজীবীরা। তাই আবারো চাঁদপুরের সড়ক, রেল ও নৌপথে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে।
লঞ্চ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মূলত বৃহস্পতিবার থেকেই ঈদের ফিরতি যাত্রা শুরু হলো। শুক্রবার যাত্রীদের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ১০ মে পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন তারা।
চাঁদপুর শহরবাসীর মন্তব্য হচ্ছে, ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিনে লঞ্চ ঘাটে আইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সু-শৃঙ্খলভাবে লঞ্চ যাত্রীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পেরেছে। তবে শহরে বাড়তি মানুষের চাপের কারণে যানজট ছিলো। অটোবাইক ও সিএনজি অটোরিকশা চালকদের শৃঙ্খলায় আনতে চেষ্টা অব্যাহত আছে। চাঁদপুর লঞ্চঘাটে নিয়োজিত বিআইডব্লিউটি-এর কর্মকর্তাদের ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ঘাটের চিত্র সুশৃঙ্খল ও সুন্দর রয়েছে।
চাঁদপুর রেলওয়ে বড় স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সোয়াইবুল সিকদার ও রেলওয়ে থানার ওসি মুরাদ উল্লাহ বাহার জানান, দিনের বেলায় চট্টগ্রামগামী সাগরিকা আর রাত ৩টায়, ভোর ৫টা ও ৬টায় দুটি ঈদ স্পেশাল এবং মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যায়। ঈদের ছুটি কাটিয়ে স্টেশনে রেল যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি কোনো ভোগান্তি ছাড়াই যেনো যাত্রীরা ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে। এজন্যে রেল পুলিশ, রেল নিরাপত্তাকর্মীসহ স্টেশনে দায়িত্বে যারা আছি আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
অন্যদিকে চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড ও বাবুরহাট স্ট্যান্ডে মানুষ ছুটছেন সড়ক পথে কর্মস্থলে যেতে।