প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২২, ১৯:৫১
অসহায় করিমজানের পাশে মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল
আর্থিক সহযোগিতা প্রদান
নিঃস্ব, অসহায় বৃদ্ধা করিমজানের প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। ২০ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় তিনি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ওই বৃদ্ধার শয্যা পাশে ছুটে যান।
|আরো খবর
এ সময় তিনি অসহায় বৃদ্ধার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। একই সাথে বৃদ্ধার চিকিৎসার জন্যে তাকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এছাড়া করিমজান ৭০ বছর বয়সেও কোনো প্রকার বয়স্ক ভাতা না পাওয়ায় মেয়রের নিজ পক্ষ থেকে প্রতিমাসে বৃদ্ধাকে ১ হাজার টাকা করে দিবেন বলে ঘোষণা করেন। পৌর মেয়রের এমন মানবিকতা দেখে বৃদ্ধা করিমজান বেগম আনন্দে কেঁদে উঠে দুহাত তুলে আল্লাহর দরবারে মেয়রের জন্যে দোয়া প্রার্থনা করেন।
জানা যায়, নিঃসন্তান, বিধবা অসহায় করিমজান বেগম দীর্ঘদিন চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার মক্কা মিল এলাকায় বেপারী বাড়ি সংলগ্ন খালপাড়ে একটি ছাউনী তুলে কোনো রকম দিন পার করে আসছেন। তিনি নিঃস্ব অসহায় হওয়ার কারণে ভিক্ষাবৃত্তি করেই তার প্রতিদিনের অন্ন জোগাতে হয়।
অসহায় করিমজান বেগম জানান, গত দুই মাস পূর্বে পুরাণবাজার মেঘনা নদীরপাড় এলাকায় এক দোকানে তিনি রুটি-ভাজি খাওয়া শেষে দোকানদারের বিল দিতে গেলে কথিত ওই দোকানদার তাকে ভিক্ষা করতে গিয়েছে ভেবে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে তার বাম পায়ের কোমরের হাঁড় ভেঙে যায়। একই সাথে তার বাম হাতে আঘাত পেয়ে তিনি আহত হন। বেশ কয়েক দিন এভাবেই তার দিন কাটলে গত ১৩ এপ্রিল তিনি নিজে নিজেই চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। এ সময় অসহায় বৃদ্ধ করিমজানকে হাসপাতাল সংলগ্ন মীম ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্তিক চন্দ্র তার কোমরের এক্সরে করিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য সহযোগিতা করেন বলে জানা গেছে।
অসহায় বৃদ্ধা করিমজান বেগমের এমন নির্মম ঘটনা নিয়ে গত ২০ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায় সোস্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আর ওই ভিডিও প্রতিবেদনটি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের দৃষ্টিগোচর হলে ওইদিন রাতেই তিনি ওই বৃদ্ধাকে দেখার জন্যে এবং সহযোগিতা করতে হাসপাতালে ছুটে যান।