বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২০:৪৯

হাইমচরে জনস্বাস্থ্যের টয়লেট নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

মো. সাজ্জাদ হোসেন রনি।।
হাইমচরে জনস্বাস্থ্যের টয়লেট নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

হাইমচর উপজেলায় মানব সম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি প্রকল্পের আওতায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে টয়লেট নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, টয়লেটের রিং নির্মাণে যে নির্দেশনা রয়েছে তা না মেনে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করছে ঠিকাদাররা।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে২২৯টি করে টয়লেট নির্মাণে বরাদ্দ আসে। প্রতিটি টয়লেটের বরাদ্দ ৩৫ হাজার টাকা। বিগত সরকারের আমলে বরাদ্দ আসা এসব কাজ আওয়ামী লীগের ঠিকাদাররা করেন এবং প্রতিটি কাজে অনিয়ম করেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাইমচর উপজেলার ৩নং আলগী দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের পাশে একটি মাঠে টয়লেট তৈরির সামগ্রী ইট, বালু, সিমেন্ট, টিন, কাঠ ও পিলার রাখা হয়েছে। যা খুবই নিম্নমানের। আর এসব সামগ্রী দিয়ে স্থানীয় কিছু শ্রমিক টয়লেটের রিং, পিলার ও পানির পাত্র তৈরি করছেন। হাত দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করলে ভেঙ্গে যাবে এসব সামগ্রী। আবার প্রতিটি রিংয়ে ফাটল, তার ওপর সিমেন্টের গোলা দেয়া হয় যাতে ফাটল দেখা না যায়। তাড়াহুড়ো করে এসব সামগ্রী উপকারভোগীদের বাড়ি বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে ক'জন শ্রমিকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, যেভাবে কাজ করতে বলা হচ্ছে, সেভাবেই করছি। রিংয়ে ফাটল থাকলে সেগুলো পরিবর্তন করে দেয়া হচ্ছে। বাকিটা মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা কিছুই জানি না।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নূর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন, তথ্য চাইলেই আমি তথ্য দিতে রাজি নই। কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আপনাদের তথ্য প্রয়োজন হলে তথ্য আইনে লিখিতভাবে তথ্য চাইলে আমি তথ্য দিবো। পরবর্তীতে তার অফিসে তথ্য অধিকার আইনের ফরমে লিখিতভাবে তথ্য চাইলে তিনি আগামী ২৮ নভেম্বর শুক্রবার তথ্য দেবেন বলে জানান। স্থানীয় সংবাদকর্মী তাকে বন্ধের দিনে তথ্য দেবেন কীভাবে প্রশ্ন করায় তিনি ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার তথ্য দেবেন বলে জানান। তার এই তথ্য লুকিয়ে রাখার পেছনে রয়েছে বড়ো ধরনের অনিয়ম। যা ধামাচাপা দিতে কতিপয় লোকের মাধ্যমেও সংবাদকর্মীদের দেন টাকার অফার। এ বিষয়ে ক'জন সংবাদকর্মী পুনরায় তার কাছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাইলে তিনি এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্যে কাকুতি মিনতি করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়