প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪
চাঁদপুরকে মাদক ও কিশোর গ্যাং মুক্ত করতে জনগণের সহযোগিতা অপরিহার্য
রোববার চাঁদপুর সদর মডেল থানার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ ডে-তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরীর বক্তব্য চাঁদপুর শহরের সবচেয়ে ভয়াবহ সমস্যা মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে এক সুদৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তাঁর বক্তব্যে যে দিকনির্দেশনা ছিলো, তা চাঁদপুর শহরের নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারে। তবে এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের জন্যে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করতে হবে স্থানীয় জনগণকেই।
|আরো খবর
চাঁদপুরে মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের সমস্যার অবসান ঘটানো যে কোনো একক শক্তি দ্বারা সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ভাষায়, “আমরা আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে চাঁদপুর শহরকে মাদক ও কিশোর গ্যাংমুক্ত করবো” — এখানে মূল কথা হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ। যদি জনগণ তাদের সন্তানদের চলাচল, বন্ধু-বান্ধব এবং অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপের প্রতি সতর্ক না থাকে, তবে মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের সমস্যা প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে যাবে।
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, পরিবার এবং সমাজ নিজের সন্তানদের সম্পর্কে সচেতন থাকে। সন্ধ্যার পর সন্তানদের ঘরের বাইরে বের হতে না দেওয়া এবং কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, এসব কিছু একসঙ্গে এক সুষ্ঠু সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সফল হতে পারে। পুলিশের অভিযান আর আইনগত উদ্যোগের পাশাপাশি, পরিবার ও সমাজের মঙ্গলময় মনোভাবই আসল শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
এছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যে রাস্তাঘাটের অবৈধ দখল এবং যানজটের কথা তুলে ধরেছেন, তা সরাসরি শহরের সার্বিক নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত। রাস্তার সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে যান চলাচল স্বাভাবিক করা, অপরাধমূলক কার্যকলাপের সুযোগ কমিয়ে দিতে পারে। এখানে পৌরসভা ও অন্যান্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
অবশেষে মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি, সামাজিক সচেতনতা এবং শিক্ষা কার্যক্রমকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। চাঁদপুর শহরকে মাদক ও কিশোর গ্যাংমুক্ত করতে হলে পুলিশের একক প্রচেষ্টা নয়, বরং সমাজের প্রতিটি অংশের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।
আমরা আশা করি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে চাঁদপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে এবং শহরটি একটি নিরাপদ, উন্নত এবং মাদকমুক্ত পরিবেশে পরিণত হবে, যেখানে পরিবার, সমাজ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একত্রিত হয়ে কাজ করবে।