প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ২১:৪৪
ফলোআপ
শাহরাস্তি পৌর সভা ভবনের চাউলের গুদাম সত্যতা পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন
'শাহরাস্তি পৌরসভায় চালের গুদামের সন্ধান' শিরোনামে দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি তদন্তে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।
|আরো খবর
সোমবার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সবুজ চাল কেলেংকারির এ ঘটনা তদন্তে আসেন।
শাহরাস্তি পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ঈদুল আজহায় দুস্থ দের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পৌরসভায় ৪৬ মে.টন চালের বরাদ্দ আসে। সেখান থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের দেয়া তালিকার বাইরে
পৌর মেয়র হাজী আবদুল লতিফ ২ শত ৪৪ জন দুস্থ ও অসহায়ের নামের তালিকার বিপরীতে ২ হাজার ৪ শত ৪০ কেজি চাল নিজে বরাদ্দ নেন। ওই চালের মধ্য থেকে ২২ টি বস্তায় ৬ শত ৬০ কেজি চাল পৌরসভার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি পৌর ভবনের পশ্চিম পাশের জানালা দিয়ে মজুদ কৃত ওই চালের বস্তা দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাংবাদিকদের খবর দেন।
এ বিষয়ে আবারও বক্তব্য জানতে সোমবার দুপুরে পৌর মেয়র হাজী আবদুল লতিফের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায় নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সবুজ জানান, পৌরসভার তালাবদ্ধ ওই কক্ষে ভিজিএফ'র ২২ বস্তা চাল পাওয়া গেছে। ঈদুল আযহার পূর্বে এসব চাল দুস্থ ও অসহায়ের মাঝে বিতরণ করার নির্দেশনা থাকলেও মজদ কৃত চাল গুলো বিতরণ না করে এই কক্ষে রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এটি অবশ্যই অনিয়ম হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।