শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৪, ১৯:৫৮

হাইমচরে কলেজের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ

রাজনৈতিক চাপে নিরব কলেজ কর্তৃপক্ষ

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি
হাইমচরে কলেজের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ

হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী মালের হাট বালিকা কলেজের জায়গা দখল করে রাতের আধারে ভবন নির্মাণ করছেন স্থানীয় সেকান্তর বেপারীর ছেলে বিল্লাল বেপারী। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক চাপের মুখে নিরব ভূমিকায় রয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের সম্পদ দখল করে রাতের আধারে পাকাভবন নির্মাণ করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নিরব থাকায় এলাকা জুড়ে রয়েছে সমালোচনা। তবে স্থানীয়দের দাবি কলেজের জমি দখল মুক্ত করতে প্রয়োজন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সামনে দিয়ে টিনের ছাউনি দিয়ে ভেতরে ইটের ৪ দেয়াল উঠিয়ে কাজ বন্ধ করে রেখেছে। স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, দিনের বেলায় যাতে কেউ না দেখে তাই রাতের বেলায় শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হয়। রাতের আঁধারে কাজ করে ইটের দেয়াল উঠানো হয়ে গেছে। এক প্রকারের জোর করেই ভবন নির্মাণ করতেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন না দেখার ভান করছে। এলাকাবাসী জানায়, মালের হাট যুব সংঘ স্থানীয় সেকান্তর বেপারীর কাছ থেকে ৮০ শতাংশ জমি ক্রয় করে এমজেএস স্কুল কলেজের নামে ৬০ শতাংশ দান করেন। কলেজের ৬০ শতাংশ জমির মধ্যের অংশে এ পাকা ভবন নির্মাণ করে জায়গা দখল করছে শাহলম বেপারী।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহলম বেপারীর সাথে আলাপ করতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি নন বলে জানান।

এমজেএস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কলেজে প্রধান শিক্ষক সরদার মাহবুব জানান, আমাদের কলেজের জায়গা নিয়ে এমনিতে ২টি মামলা উচ্চ আদালতে রয়েছে। ঐ মামলায় কলেজের পক্ষে রায় হওয়ার পরে আবার আপিল করেছে। এর মধ্যে আবার নতুন করে শাহলম বেপারী জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করছে। এ বিষয়ে যাতে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ না করি তার জন্যে রয়েছে রাজনৈতিক চাপ। বলতে গেলে আমরা অনেক চাপ সৃষ্টির মধ্যে আছি। আপনারা যাতে লেখনির মাধ্যমে কলেজের জায়গা উদ্ধার করতে পারেন। কলেজের হয়ে আপনারা কাজ করুন, যাতে কলেজের জায়গাটুকু দখল মুক্ত হয়।

এমজেএস স্কুল কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এসএম আল মামুন সুমন জানান, মালের হাট যুব সংঘ ৮০ শতাংশ জমি ক্রয় করে ৬০ শতাংশ জমি আমাদের কলেজকে দান করেছেন। এখন এখানে সরজমিনে জমিন আছে ৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৬ শতাংশ জমির উপর মালের হাট যুব সংঘের অফিস। এখানে যতটুকু জায়গা আছে মালের হাট যুব সংঘ ও কলেজের জায়গা। ৩য় পক্ষের কেউ এসে জোর করে ভবন নির্মাণ করবে এটা ঠিক না। এটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনী। কলেজটা আমাদের সকলের, এ সম্পদ সকলে মিলে মিসে রক্ষা করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়