বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২২, ২১:৪৫

ফরিদগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধে হামলা, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
ফরিদগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধে হামলা, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ভাইয়ের জুলুমের শিকার ভাই। পৈত্রিক সম্পত্তিতে দীর্ঘ সময় ধরে উপেক্ষিত আব্দুল লতিফ। আদালতের রায় পাওয়ার পরও নিজ ভূমিতে ঘর তুলতে বাধা দেয় বড় ভাই। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে আহত হয় বড় ভাই আব্দুল মতিনের মেয়ে তানজিনা (২৭)। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মরহুম আব্দুল জলিল এর ৪ সন্তান। আব্দুল মতিন, আব্দুল লতিফ, নুর মিয়া ও মোঃ শহীদ। সার্ভেয়ার, পঞ্চায়েত এবং চার ভাইয়ের স্বাক্ষর যুক্ত বন্টকনামা সূত্রে দেখা যায়, আব্দুল লতিফ দুই শতাংশ জমির মালিক। কিন্তু আব্দুল মতিন তার ২য় ভাই আব্দুল লতিফকে তাদের প্রতিশ্রুতিকৃত স্থানে দিতে রাজি হচ্ছে না। অন্যদিকে বাকি দুই ভাই এটা নিয়ে বিরোধ করছে না। তারা আব্দুল লতিফকে পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উক্ত ভূমি দিতে রাজি কিন্তু তাদের সবার বড় ভাই রাজি হচ্ছে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক পঞ্চায়েত হয়। পঞ্চায়েত আব্দুল লতিফের পক্ষে রায় দিলে আব্দুল মতিন তা না মেনে আদালতে মামলা করে। আব্দুল লতিফের ভাষ্য অনুযায়ী আদালতের রায়ও তার পক্ষে যায়। তারপরও আব্দুল মতিন তার ভাইকে সেই জায়গাটিতে ঘর তুলতে দেয় না। দীর্ঘ সময় ধৈর্য ধরার পর, অবশেষে আব্দুল লতিফ গত ৫ নভেম্বর তার ভূমিতে ঘর তোলার উদ্দেশ্যে গাছ কাটতে গেলে তার বড় ভাই আব্দুল মতিন তার স্ত্রী, মেয়ে বাঁধা দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে আব্দুল মতিনের মেয়ে তানজিনা (২৭) গুরুতর আহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগ পত্রে দুই পক্ষের লোকই আহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আব্দুল লতিফ বলেন, পৈত্রিক সূত্রে আমি আমার ভিটাতে সব ভাইয়ের মতো ১১ শতাংশ পাই কিন্তু আমার বড় ভাই মাপার আগেই আমার সম্পত্তির উপর ঘর তুলে ফেলে। পরে পঞ্চায়েতরা সিদ্ধান্ত দেয় ঘর না ভেঙ্গে। রাস্তার পাশে যে ডোবা আছে সেখান দিয়ে এই ঘাটতি পূরণ করবে। আমি কষ্ট পেলেও সবার কথা মেনে নিয়েছি। কিন্তু এখন সেখানে আমি ঘর করতে গেলে বড় ভাই বাধা দেয়।

এ বিষয়ে তার অপর দুই ভাই নূর মিয়া এবং শহীদ এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘আমাদের পূর্বের সিদ্ধান্ত ছিলো মেঝ ভাইয়ের যে দুই শতাংশ জায়গা কম আছে সেটা রাস্তার পাশে ডোবাতে দিবে কিন্তু বড় এখন সে কথা থেকে সরে গেছে। এটা নিয়েই জামেলা।

ঘটনার স্থানে গিয়ে আব্দুল মতিন, তার মেয়ে এবং স্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। আব্দুল মতিনের ছেলের বৌ এ বিষয়ে বলেন, তারা চাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমি বিস্তারিত জানি না। জায়গা জমি নিয়ে মারামারি হয়েছে। এতে আমার শ^াশড়ী এবং ননদ আঘাত পেয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়