প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৩১
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত বেতন আদায়ের অভিযোগ!
ফরিদগঞ্জ উপজেলার সদরে অবস্থিত ফরিদগঞ্জ আবিদুর রেজা মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের কাছ থেকে ২০ টাকার মাসিক বেতন ২৫০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক পলাতক থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রধান শিক্ষক হাছিনা বেগম দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছে ২০ টাকার মাসিক বেতন ২৫০ টাকা করে নির্ধারণ করেন। জানা যায়, গত ২০ অক্টোবর ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মাসিক বেতন দিতে গেলে জানেন, এখন থেকে ২৫০ টাকা করে বেতন দিতে হবে। এই নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে সমলোচনার সৃষ্টি হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার শিক্ষার্থীদের একটি আবেদন দিতে বলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, সরকারি স্কুলে খরচ কমবে, সরকার পতনের পরে খরচ আরো বেড়ে গেলো। ২০ টাকার বেতন ২৫০ টাকা করে নির্ধারণ করেছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার। বাড়তি ফি নেওয়ার ব্যাপারে আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই। আমরা কি স্বাধীন দেশে বাস করি?-- প্রধান শিক্ষক না থাকায় গলায় ছুরি দেওয়া শুরু করলো স্কুল কর্তৃপক্ষ? এ বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার জানান, প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল স্যারের সাথে আলোচনা করে বেতন বাড়ানো হয়েছে। ২৫০ টাকা করে বেতন নেওয়ার জন্যে লিখিত আছে। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল জানান, নিয়ম হলো প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে তার সাথে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। কিন্তু আমার কোনো কথার দাম না দিয়ে নিজের মর্জিমত সিদ্ধান্ত নেন সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার। সরকারি স্কুলে সরকারের নির্ধারিত বেতন ছাড়া বাড়তি বেতন নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানি না।