চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে যোগদান করলেন ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল ও অনিন্দিতা ইন্দুসহ চারজন

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ এএইচএম সুজাউদ্দোলা রুবেল এবং মেডিকেল অফিসার ডাঃ অনিন্দিতা ইন্দু পদোন্নতি পেয়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে (চাঁমেক) লেকচারাল হিসেবে যোগদান করেছেন। এই দু’জনের সাথে আরো দু’জন ডাক্তারকেও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে পদায়ন করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের লেকচারার ডাঃ চিন্ময় বড়ুয়া এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের লেকচারার ডাঃ শহীদুল্লাহ কায়সার। এদের মধ্যে ডাঃ চিন্ময় বড়ুয়া চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে লেকচারার পদে আর ডাঃ শহীদুল্লাহ কায়সার ফার্মাকোলজি এন্ড থেরাপিউটিক্স বিভাগের প্রভাষক পদে পদায়ন হয়েছেন। এ দুজন সহসাই যোগদান করবেন বলে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছেন। চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে নবযোগদানকৃত অধ্যক্ষ ডাঃ হারুন-অর-রশিদের প্রচেষ্টায় এই কলেজে নতুন চারজন শিক্ষক পদায়ন হলো।

জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি ডাঃ এএইচএম সুজাউদ্দোলা রুবেল চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে (চাঁমেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে লেকচারার হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি ২৪ জানুয়ারি চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও পদ থেকে অব্যাহতি নেন। গতকাল ২৫ জানুয়ারি চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ (চাঁমেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে লেকচারার হিসেবে তিনি যোগদান করেন। একই সময় ডাঃ অনিন্দিতা ইন্দু মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন।

ডাঃ এএইচএম সুজাউদ্দোলা রুবেল ২০১৭ সালে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে ডাঃ রুবেল সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। করোনাকালীন সময় যখন সকলে ঘরবন্দী তখন ডাঃ রুবেল চাঁদপুরবাসীকে সেবা দিয়ে সকলের সুনাম কুড়িয়েছেন।

ডাঃ এএইচএম সুজাউদ্দৌলা রুবেলের জন্মস্থান বরিশাল জেলার সদর উপজেলায়। তিনি ১ ছেলে সন্তানের জনক। তার স্ত্রী ডাঃ সাজেদা পলিন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। এই চিকিৎসক দম্পতি করোনাযোদ্ধা হিসেবে চাঁদপুর প্রেসক্লাব, চাঁদপুর রোটারী ক্লাবসহ বিভিন্ন খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মাননা স্বীকৃতি পেয়েছেন।

এ বিষয়ে ডাঃ সুজাউদ্দোলা রুবেল অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ২০১৭ সালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে যোগদানের পর থেকে যেভাবে চাঁদপুরবাসী ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা ও দোয়া পেয়েছি, আগামীতেও পাবো বলে আশাবাদী।