প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
একটি ভবনে পানির পাম্পের কাজ হলো পুরো বিল্ডিংয়ের প্রতিটি পানির পাইপে পানি সরবরাহ করা। ঠিক তেমনি হৃৎপিণ্ডের কাজ হলো পুরো দেহে রক্ত পৌঁছে দেয়া। তাই হৃৎপিণ্ডকে দেহের পাম্প মেশিন বলা হয়। হৃৎপিণ্ড প্রতি মিনিটে ৭০-৮০ বার রক্ত পাম্প করে। মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম হওয়ার আগেই একটি শিশুর হৃৎপিণ্ড তৈরি হয়ে যায়। মায়ের পেটে থাকা অবস্থা থেকে মৃত্যুর আগে নিঃশ্বাস পর্যন্ত চলতে থাকে এ অঙ্গের কাজ। মানুষ ঘুমিয়ে থাকলেও হৃৎপিণ্ড কাজ করতেই থাকে। মৃত্যুর পর থেমে যায় এর কার্যক্রম। হৃৎপিণ্ড এক সেকেন্ডের জন্যেও থেমে থাকে না। চলতেই থাকে এর কার্যক্রম। হৃৎপিণ্ড ভালো রাখার জন্যে নিচের বিষয়গুলো মেনে চলাটা ভীষণ জরুরি :
* নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে পানি প্রতিদিন পান করতে হবে। এতে রোগজীবাণু দেহের বাইরে চলে যাবে সহজেই।
* মৌসুমী ফল ও শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। বর্জন করতে হবে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার। কারণ তেল-মসলা দেয়া খাবারগুলোর চর্বি হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরায় জমে যায়। এভাবে জমতে জমতে একসময় বন্ধ হয়ে যায়। তখন মানুষের হার্ট অ্যাটাক হয়। পরিণামে মানুষ মারাও যায়।
* বয়স ৩৫ বছর পার হলেই খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে আনুন। ছয় মাস পর পর, সম্ভব না হলে প্রতি বছর পুরো দেহের চেকআপ করান।
* ফাস্টফুড যতোটা বাদ দেয়া যায়, ততোই ভালো।
* দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর করে হাসিখুশি থাকুন সর্বদা। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত রক্তে চিনির মাত্রা ও ব্লাড প্রেসার মাপুন।
* ধূমপান, মাদকদ্রব্য সব বয়সের জন্যে বর্জনীয়।
* যাদের বংশগতভাবে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টঅ্যাটাক বা স্ট্রোকের কোনো ইতিহাস রয়েছে তারা অবশ্যই প্রথম থেকেই খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনের প্রতি মনোযোগী হবেন। রক্তে চর্বি জমে যায়। যদি বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী দেহের ওজন খুব বেশি হয়, তবে অবশ্যই নিয়মিত দেহের কোলেসটেরল (রক্তে চর্বির মাত্রা), ওজন মাপতে ও পরীক্ষা করাতে হবে।
* যারা সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে বসে থাকার কাজ করেন, তারা সম্ভব হলে অফিসে বা বাসায় লিফট থাকলে লিফটের পরিবর্তে হেঁটে নামুন। এতে ঘেমে গেলে বুঝবেন যে দেহের জন্যে অতিরিক্ত চিনি বা ক্যালরিগুলো বের হয়ে যাচ্ছে। আর ঘামের মাধ্যমে দেহের রোগজীবাণুও দূর হয়। সিঁড়ি দিয়ে নামার চেয়ে ওপরে উঠলে হৃৎপিণ্ডের জন্যে ব্যায়াম হয় বেশি। পা থেকে মাথা পর্যন্ত রক্ত চলাচল করে। এতে হৃৎপিণ্ড কর্মক্ষম হবে আরো বেশি।
* নামাজ, পূজা, ধ্যান বা মেডিটেশন করলে মানুষের মস্তিষ্কের বিশ্রাম হয়। এ ধরনের মানুষদের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হয় তুলনামূলকভাবে কম।
* মন ভালো রাখার জন্যে গান শুনুন, ছবি আঁকুন, কোথাও বেড়াতে যান বা পছন্দের কোনো কাজ করুন। মন ভালো থাকলে হৃৎপিণ্ডও ভালো থাকবে।
* চিকিৎসাঙ্গন বিভাগে লেখা পাঠানোর
ই-মেইল : [email protected]