প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ভেঙ্গে দেয়া হলো জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ॥ হচ্ছে অ্যাডহক কমিটি
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবিতে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানজনিত কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর ড. মো. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার দায়িত্বগ্রহণ করে। এর থেকে পর্যায়ক্রমে শুরু হয় বিভিন্ন দপ্তর বিরাজনীতিকরণ। এরই অংশ হিসেবে ভেঙ্গে দেয়া হলো দেশের সকল ক্রীড়া সংস্থার মতো চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ উপজেলা পর্যায়ের সকল ক্রীড়া সংস্থা।
জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এস. এম. হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লেখিত ক্রীড়া সংস্থাগুলোতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ক্রীড়ানুরাগী/ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট/ ক্রীড়া সম্পৃক্ত সম্মানিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অ্যাডহক কমিটি গঠন করে তার অনুমোদনের জন্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হলো।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা গঠনের এখতিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-এর। জেলা ক্রীড়া সংস্থা গঠনের এখতিয়ার জেলা প্রশাসকের। তিনিই সকলের সাথে আলোচনা করে গ্রহণযোগ্য ও ক্রীড়ামোদী ব্যক্তিদের নিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠন করবেন।
২০২২ সালের ১৬ মে চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মোট ২৭টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যরা নির্বাচিত হন। পদাধিকার বলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি নির্বাচিত হন।
এদিকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটিতে কে বা কারা আসছেন এ নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের বদলি হয়েছে। তার স্থলে নতুন জেলা প্রশাসক যোগদান করলে তিনি সকল কিছু গুছিয়েই ক্রীড়া সংস্থায় হাত দিবেন।
এ ব্যাপারে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদ্য সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী নোমান বলেন, চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা একটি সফল ক্রীড়া সংস্থা। অতীতে যেমন তারা বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজনে সফলতা দেখিয়েছে, ভবিষ্যতেও আশা করছি সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে প্রত্যাশা করি, অ্যাডহক কমিটি জেলা পর্যায়ে সফল ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের ও দক্ষ সংগঠকদের নিয়ে গঠিত হোক। যাতে ক্রিকেট, ফুটবলসহ সকল খেলাই আগের চেয়ে আরো বেশি বেগবান হয়। আমরা এই ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে কৃতী খেলোয়াড় উপহার দিতে চাই। যারা আমার জেলার গৌরব বয়ে আনবে।
একইভাবে উপজেলা পর্যায়েও যাতে কৃতী খেলোয়াড় ও দক্ষ সংগঠকদের নিয়েই উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠিত হয়।