প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চাঁদপুর জেলা ও উপজেলার ১৫ জন ক্রীড়াবিদ চেক পেয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই অনেকটা স্বাবলম্বী হলেও তারা এই সহযোগিতা পেয়েছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে।
চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে গত ১৪ জুলাই শুক্রবার দুপুরে চেক প্রাপ্তদের হাতে চেক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান সহ কার্যকরী কমিটির সদস্যরা।
জানা যায়, ২০২২-২০২৩ আর্থিক সালের এককালীন অনুদান পাওয়ার জন্যে অসচ্ছল, আহত ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিকট হতে অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়। সেমতে প্রাপ্ত মোট ৩৫টি আবেদনপত্র জেলা কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। কমিটির সদস্যবৃন্দ আবেদনগুলো নীতিমালার আলোকে যাচাই-বাছাই করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৭টি আবেদন সঠিক পাওয়া যায়। জেলা ক্রীড়া অফিসের সহযোগিতায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চেক পাওয়া চাঁদপুর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার অসহায় ও অসচ্ছল ক্রীড়াবিদরা হলেন-- চাঁদপুর সদরের কদমতলা এলাকার অমিয় রায় চৌধুরী, হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ এলাকার এমদাদ মজুমদার, চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোড এলাকার দেবেশ চন্দ্র সাহা দেবু, যমুনা রোড এলাকার পিংকি, ছৈয়াল বাড়ি রোড এলাকার বিমল চক্রবর্তী, নাজিরপাড়া এলাকার মফিজুল ইসলাম চৌধুরী, বাগাদী রোড ( রহমতপুর কলোনী) এলাকার মাহাতাব হোসাইন রাসেল, নিশি বিল্ডিং এলাকার মীম আক্তার, কচুয়া গোলবাহার এলাকার মোঃ রাসেদ খান, হাজীগঞ্জ টোরাগড় এলাকার শাহজাহান তালুকদার , চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার ( উকিল পাড়ার ) এলাকার মোঃ সাইফুল ইসলাম সুমন, পুরাণবাজার লোহারপুল এলাকার মোঃ সেলিম, কচুয়া কাদিরখিল এলাকার মোহাম্মদ গোলাম মাওলা, চাঁদপুর শহরের আদর্শ মুসলিম পাড়ার রাখাল দত্ত ও মেথা রোড এলাকার সুখরঞ্জন মজুমদার। এদের মধ্যে কেউ কেউ জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন এবং তাদের আর্থিক অবস্থাও ভালো বলে জেলার অনেক ক্রীড়াবিদ আবেগভরা কষ্ট নিয়ে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
চাঁদপুর স্টেডিয়ামে চেক বিতরণকালে জেলার অনেক ক্রীড়াবিদ বলতে থাকেন, এ জেলা শহরে অনেক অসহায় ও অসচ্ছল ক্রীড়াবিদ রয়েছেন, কিন্তু চেক পেলেন কারা?