প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২২, ০০:০০
ইউক্রেনে ভালাদিমির পুতিনের আগ্রাসনের জের টানছে রাশিয়ার ফুটবল। গত রাতেই বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা তাদের সব ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করেছে দেশটিকে।
খেলার দুনিয়া আরও আগে থেকেই ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নিয়ে সোচ্চার। এমনকি এর প্রতিবাদ এসেছে রাশিয়ান ক্রীড়াবিদদের কাছ থেকেও। রাজনীতি, কূটনীতি যা-ই হোক, খেলার দুনিয়ার সবাই এ বিশ্বে শান্তি চান।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও এক ইনস্টাগ্রাম বার্তায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি যুদ্ধ নয়, শান্তি চান। তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে শিশুদের জন্য সুন্দর ও বাসযোগ্য এক পৃথিবীর বার্তা দিয়েছেন। যুদ্ধ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয় শিশুরাই।
ইউক্রেনেও রাশিয়ার আগ্রাসন শিশুদের জন্য কতটা ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, সেটি বিভিন্ন বার্তা সংস্থার আলোকচিত্রীদের মাধ্যমে বিশ্ববাসী দেখছে প্রতিদিন।
রোনালদোর ইনস্টাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যা ৪০ কোটির বেশি। পর্তুগিজ তারকার এমন পোস্ট যুদ্ধের বিরুদ্ধে বড় বার্তাই। তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, শিশুদের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী তৈরি করতে হবে। বিশ্বে শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি। যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই।
রিয়াল মাদ্রিদে খেলার সময় সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন ইউক্রেনের আন্দ্রিই লুনিনকে। তাঁর বর্তমান ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের ব্যাপারে কঠোর। সম্প্রতি রাশিয়ান বিমান সংস্থা অ্যারোফ্লোতের সঙ্গে পৃষ্ঠপোষকতার চুক্তি বাতিল করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। চুক্তিটি ছিল ৪০ মিলিয়ন পাউন্ডের।
এদিকে গত রাতেই ফিফা ও উয়েফা রাশিয়াকে সব ধরনের ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করেছে। এতে পুতিনের দেশ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলার অধিকার হারিয়েছে। ইউরোপের কোনো ক্লাব প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিতে পারবে না রাশিয়ান ক্লাবগুলো।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা শুক্রবারই রাশিয়ান ক্রীড়াবিদ ও বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল। ফিফা প্রথমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে রাশিয়ার জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ‘রাশিয়া’ নামে খেলার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফিফা।
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার এ পদক্ষেপ তাদের ভাষায় ছিল ‘প্রাথমিক পদক্ষেপ’। সেটি অবশ্য সমালোচিত হয়েছে যথেষ্ট। পরে বাংলাদেশ সময় রাতেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে রাশিয়াকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে তারা।