বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

মন ও জীবনকে আনন্দ দিতেই কবিতা লিখি
জান্নাতুল নাঈম

কবিতা শখের বশে লিখি। শখ মানুষকে আনন্দ দেয়। কবিতা প্রকাশ হলে আনন্দ লাগে। তাছাড়া আমার পরিবারের প্রত্যেকেই চায় আমি কবিতা লিখি। পরিবার এবং সবার প্রশংসা পেতে লিখি। অবসরকে সময়কে সুন্দর করতে কবিতা লিখি। সৃজনশীল কাজে যুক্ত থাকলে অবসর সময় আনন্দদায়ক হয়ে উঠে। তাছাড়া সমস্ত অনুভূতিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়। কবিতার মাধ্যমে গোটা জীবন তুলে ধরা যায়। এটি মনকে শান্ত এবং গভীর করে। সবমিলিয়ে বলা যায়, মন ও জীবনকে আনন্দ দিতেই কবিতা লিখি। কবিতা দুঃখ কমায়। কবিতা সুখ বাড়ায়। যা কোথাও প্রকাশ করতে পারি না তা কবিতায় প্রকাশ করতে পারি।

চিঠি দিও

যদি আমার প্রেমে পড়ে যাও

কিছুতেই অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা করো না

একটা খুদে চিঠি দিও

লিখে দিও তোমায় ভীষণ ভালোবাসি

ব্যাস-

তুমি পেয়ে যাবে এই শতাব্দীর সরল মেয়েটাকে।

যদি আমার প্রেমে হাবুডুবু খাও

শামুকের মতোন খোলসে গোপনে গুটিয়ে থেকোনা

একখানা খুদে বার্তা দিও

লিখে দিও তোমার একান্ত মানুষ হতে চাই

ব্যাস-

তুমি পেয়ে যাবে এই শতাব্দীর সহজ মেয়েটাকে।

শোনো তোমাকেই বলছি

ভালোবাসা দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় হয়

তুমিই না হয় প্রথম এগিয়ে আসো

বহুকাল আমিও তোমার প্রেমে ডুবছি

এইবার তুমি লোকসম্মুখে আমায় উদ্ধার করো।

এমন করে ডেকো না

এমন করে ডেকো না

যতখানি ডাকলে আমি ভালোবেসে ফেলবো

তোমার জন্যে এই শতাব্দীতে অন্য মানুষ হবো

রাতের ঘুম ছেড়ে জেগে জেগে তোমায় দেখবো

লজ্জা শরম রেখে ভালোবাসি বলে ফেলবো।

এমন করে কথা বলো না

যতখানি বললে বাচ্চাসলুভ আচরণ করবো

তোমাকে যাচ্ছেতাই বলে রাগ কমাবো

তোমাকে সান্নিধ্যে পেতে মরিয়া হয়ে যাবো

গভীর প্রার্থনায় বসে তোমার কথাই বলবো।

ফিরে এসেছি

বুকের ভেতর রোজ আগুন জলে

তোমার নাম শুনলে বুকে ব্যাথা বাড়ে

তোমার মুখখানি দেখলে দ্বিধায় পুড়ে যাই

বড্ড ভালোবাসা দিয়ে ফেলেছি

তোমাকে দেওয়া ভালোবাসা দুঃখ বাড়ায়।

চোখের ভেতর রোজ শ্রাবণ নামে

রোজ তোমাকে ডাকতে গিয়ে ফিরে আসি

বার্তা দিতে গিয়ে হাত থামিয়ে ফেলি

তোমাকে জন্যে আবেগ রোজ হত্যা করি

তোমাকে দেওয়া যত্ন দুঃখ বাড়ায়।

অনিন্দ্য, তবু তোমার থেকে ফিরে এসেছি

এটাই তোমার সুখের কারন হোক।

শতেক বার

শতেক বার চলে এসেছি

শতেক বার বিদায়ের আয়োজন করেছি

শতেক বার অভিমানে তীর্যক বাক্যে ছুড়েছি

শতের বার তোমার কথার জবাব দেইনি

ছেলে, সত্যিই ফিরতে চেয়েছি

তবুও কোথায় যেনো ভালোবাসা থেকে যায়

তাই তোমায় কিচ্ছু বলিনি।

শতের বার চিৎকারে দূরে ঠেলেছি

শতেক বার আবেগ জলে ভাসিয়ে চুপ থেকেছি

শতেক বার তোমার মুখপানে চেয়ে কেঁদেছি

শতেক বার তীব্র ব্যাথা সত্ত্বেও মেনে নিয়েছি

ছেলে, সত্যিই ভুলে যেতে চেয়েছি

তবুও তুমি মস্তিষ্কে থেকে যাও

তাই তোমায় কিচ্ছু বলিনি।

অপেক্ষারত ফোন

সেদিন এক ফোন এলো

বহুকালের অপেক্ষারত ফোন এলো

মুহূর্তেই দুঃখ সব খেই হারিয়ে ফেললো

সুখেরা আলোর মতো নেমে এলো

ভাষারা সুখে নির্বাক হয়ে গেলো।

সেদিন একটি খুদে বার্তা এলো

বহুকালের অপেক্ষারত মানুষটির লেখা এলো

মুহূর্তেই জীবনের প্রখর রোদ্দুরে শীতল বাতাস এলো

শব্দরাজি বকুল ফুলের মতো ঝরে গেলো

বুকের ভেতর বহে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় থামলো।

সেদিন একটা ই-মেইল এলো

বহুকালের কাঙ্ক্ষিত ই-মেইল এলো

ষোলো কোটি মানুষের নিকট ধারস্থ হবো ভেবেছি

কি থেকে কি বলবো বাক্যে পাইনি

মুহূর্তেই জীবনে আমূল পরিবর্তন এলো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়