মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

শিক্ষা সংস্কৃতি স্বপ্ন
অনলাইন ডেস্ক

(গত সংখ্যার পর)

সারা পৃথিবীতেই শিক্ষার প্রতি মানুষ এতোটা গুরুত্ব দিচ্ছে কেনো? কেনো মনে করা হচ্ছে যে, শিক্ষর্থীরা যতো গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে তাহলে টেকসই উন্নয়নও নিশ্চিত হবে। কেনো মনে করা হচ্ছে শিক্ষার্থীকে যদি স্বাধীনভাবে, তার ইচ্ছার অনুকূলে, তার ভালো লাগার অনুকূলে শিখতে অনুপ্রাণিত করা হবে এবং সেক্ষেত্রে অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করা হবে তাহলে শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সহজ হবে এবং যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে শিখন-শেখানো কার্যক্রমের মধ্যে প্রতিনিয়ত রাখা হবে সেই উদ্দেশ্য এবং সেই লক্ষ্য সাফল্যমত হয়।

কিন্তু মুশকিল হলো, যে শিক্ষাব্যবস্থা বহুকাল থেকে আমাদের দেশে প্রচলিত হয়ে এসেছে, সেই শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীর এই ভেতরগত প্রতিভাকে, সৃষ্টিশীলতাকে, তার নতুন সব ভাবনাকে, তার প্রেরণা ও উৎসাহের জগতকে অবাধ এবং উন্মুক্তভাবে বিকশিত হওয়ার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। এমনকি শিক্ষার্থী তার অতি সাধারণ নৈমিত্তিক কিছু কিছু ব্যতিক্রমীধর্মী ভাবনাকেও তার শিখন-শেখানো কার্যক্রমের ভেতর দিয়ে উপস্থাপন করতে পারে না। কেননা এমনতর উপস্থাপন, এমনতর নতুনত্ব, এমনতর সৃষ্টিশীলতা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোটেই প্রচলিত নয়। কোনো শিক্ষকই এই ধারার প্রতিভাকে বুঝতে চান না, মূল্যায়ন করতে চান না, মর্যাদা দিতে চান না। কারণ ব্যবস্থাটাই এমন যে, কোনো একজন শিক্ষক যদি এই সৃষ্টিশীলতাকে মূল্যায়ন করতে চান তা হলে তিনি কী করবেন? কিছুই করার সুযোগ তার নেই এবং সেই ধরনের কোনো প্রশিক্ষণও তার নেই। ফলে অনিবার্যভাবেই পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে যা কিছু লেখা থাকে, শিক্ষক ক্লাসরুমে যা কিছু বলেন কিংবা বাড়িতে ও কোচিং সেন্টারগুলোতে যেভাবে তাকে শেখানো হয় তার বাইরে যাওয়ার সমস্ত পথ তার কাছে রুদ্ধ হয়ে যায়।

এমন একটি ব্যবস্থার ভেতর দিয়ে একজন শিশু যখন বেড়ে উঠে তখন তার ভেতরে সৃষ্টিশীলতার জগতটি চিরতরে রুদ্ধ হয়ে যায়। তার চিন্তার গড়নের মধ্যে, তার ভাবনার গড়নের মধ্যে এমন একটি অপ্রতিরোধ্য সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়, যেখান থেকে কখনোই বের হয়ে আসতে পারে না সে। ফলে যে জীবন সে যাপন করে সেই জীবন নিয়ে তার কোনো প্রশ্ন থাকে না, তার কোনো জিজ্ঞাসা থাকে না, তার কোনো কৌতূহল থাকে না এবং সে কোনো একটি ঘটনাকে কোনো একটি টেক্সটকে, কোনো একটি প্রতিবেদনকে, কোনো একটি প্রশ্নকে, কোনো একটি মন্তব্যকে সে কখনোই প্রশ্ন করতে পারে না। কখনোই মনে করতে পারে না যে, যৌক্তিকতার আলোকে নতুন কিছু বলা যায়, নতুন কিছু ভাবা যায়, নতুন কিছু ব্যক্ত করা যায়, নতুন কিছু উপস্থাপন করা যায়। তার মধ্যে এই বোধের উদ্বোধন ঘটে না যে নতুন ভাবে, নতুন পথে, নতুন পদ্ধতিতে, নতুন প্রজ্ঞায়, নতুন চিন্তায়, নতুন এক জীবন রচনা করা যায়, নতুন জবনাকাঙ্ক্ষা তৈরি করা যায়, নতুন কোনো সুন্দর সৃষ্টি করা যায়। ফলে এক জীবন তাকে এই নিয়তি বহন করতে হয় যে, ধর্মের বিন্দুমাত্র জ্ঞান আহরণ না করে কিংবা সামান্য ধর্মজ্ঞান নিয়ে ধর্মের সঙ্গে বসবাস করা। আর তখন যে সমস্যাটি তৈরি হয় তা হলো অযৌক্তিকতার পরিতোষণ করা, প্রথাগত ধারণার অনুগত থাকা; প্রথাগত কুসংস্কার, প্রথাগত পশ্চাদপদতা, প্রথাগত অন্ধত্ব তাকে এমনভাবে গ্রাস করে যে, সে কিছুতেই আলোর স্পর্শ পেতে চায় না। সে কিছুতেই জীবনকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে, অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে, বহুত্ববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করতে পারে না। সে কিছুতেই ভাবতে পারে না যে, বিশ্বব্রহ্মা- বৈচিত্র্যের সমাহার, পৃথিবীর প্রতিটি স্থান বৈচিত্র্যে ভরপুর, প্রতিটি মানুষ বহুতর বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এই বৈচিত্র্যকে উপভোগ করতে হয়, এই বৈচিত্র্যকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে হয় এবং এই বৈচিত্র্যকে ভালবাসতে হয় এবং সর্বোপরি বৈচিত্র্যে মধ্যে ঐক্য সংস্থাপিত করতে হয়।

সে ভাবতে পারে না যে, প্রাণিজগৎ, উদ্ভিদ জগৎ এবং ভৌগোলিক জগৎ যেমন বৈচিত্র্যময় ও তার ঐক্য সৌন্দর্যময়, তেমনি প্রতিটি মানুষ একেকটি আলাদা সত্তা এবং বৈচিত্র্যময়। সেই বৈচিত্র্য তার দেহের গড়নে, তার বর্ণে, তার উচ্চতায়, তার বিশ্বাসে, তার অবিশ্বাসে, তার আনন্দে, তার বেদনায়, তার রুচিতে, তার বোধে, তার মননে এবং অবশ্যই তার পোশাকে। সর্বত্রই অফুরন্ত বৈচিত্র্য নিয়ে, অফুরন্ত আলাদাত্ব নিয়ে সমাজের বিচিত্র একজন মানুষকে আপন করে নেওয়া শক্তি ও সামর্থ্য আমাদের অনেকের মধ্যেই থাকে না। আমরা কিছুতেই বুঝতে চাই না যে, ধর্মীয় দিক থেকে যেমন মতাদর্শের দিক থেকেও তেমনি প্রতিটি মানুষ আলাদা এবং আমার ধর্ম যাই হোক না কেনো, যে মতাদর্শ আমি লালন করি না কেনো অন্যের মতাদর্শকে, অন্যের ধর্মকে, অন্যের আদর্শকে আমি কিছুতেই হেয় করতে পারি না, আঘাত করতে পারি না। অধিকন্তু বৈচিত্র্যের এই যে বিপুলতা তাকে সম্মান করা, তাকে শ্রদ্ধা করা প্রতিটি মানুষের মানুষ হিসেবে দায়। আমি কারো পোশাক নিয়ে, ধর্মাচরণ নিয়ে, মতাদর্শ নিয়ে, রুচি নিয়ে, বিশ্বাস নিয়ে কিছুতেই কটূক্তি করতে পারি না, বিবাদণ্ডবিসংবাদে জড়াতে পারি না। আর ওই যে দায়বোধের কথা বলা হলো তা তৈরি হয় শিক্ষার ভেতর দিয়ে। কিন্তু খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ভেতরে আলোকিত এই মানুষ তৈরি করার কোনো সুযোগ এখনো তৈরি হয়নি।

পেপার-পেন্সিল টেস্ট-এর ভেতর দিয়ে, নানা রকম পরীক্ষার ভেতর দিয়ে, পাঠ্যপুস্তকের ভেতর দিয়ে, শিক্ষক ও অভিভাককের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের ভেতর দিয়ে, অভিভাবকদের প্রতিষ্ঠাপ্রবণ প্রবল চাপের ভেতর দিয়ে আলোকিত ওই মানুষ তৈরি করা যায় না। এর জন্য দরকার উন্মুক্ত-উদার এক পরিবেশ, এর জন্য দরকার প্রকৃতির মতো আবহ এবং সর্বোপরি এর জন্য দরকার এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা যে ব্যবস্থার ভেতর দিয়ে একজন শিশু একটি বৃক্ষের মতো নিজেকে বাড়িয়ে তুলবে; শাখা-প্রশাখা, প্রত্রপল্ল ও ফুল-ফলের মতো আপনা থেকে বিকশিত হয়ে উঠবে। আর এর জন্য দরকার এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিক্ষার্থী-মূল্যায়নে নতুন পথ ও পদ্ধতি অবলম্বন করা। সেই পথ এবং পদ্ধতি কী? সেই পথ এবং পদ্ধতি হলো প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীকে নার্সিং করা। বীজ বপন থেকে অঙ্কুরিত একটি বৃক্ষকে যেমন প্রতিনিয়ত পরিচর্যা করে করে তাকে বড় করে তোলা হয় এবং বৃক্ষটি পত্রপল্লবে, ফুলে-ফলে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়ে ওঠে, তেমনি একজন শিশুকে তার জন্মপূর্বকাল থেকে বৈজ্ঞানিক পথ ও পদ্ধতিতে নার্সিং করা প্রয়োজন। তার প্রতিদিনের কর্মের ভেতরে, তার প্রতিদিনের খেলাধুলার ভেতরে, তার প্রতিদিনের লেখপড়ার ভেতরে এবং তার প্রতিদিনের জীবনাচরণের ভেতরে এমনভাবে মূল্যায়ন করা দরকার যাতে তার সৃষ্টিশীল ভাবনাগুলো বিকশিত হওয়ার পথ পায়।

বিদ্যালয়ে শিশুকে মূল্যায়নকরা হয়। মূল্যায়নের ভেতর দিয়ে একজন শিশু বেড়ে ওঠে। কিন্তু মূল্যায়ন মানে শুধু তাকে ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করা? মোটেই কিন্তু তা নয়। মূল্যায়ন মানে হল প্রতিনিয়ত তাকে বিকশিত হওয়ার পথ করে দেওয়া, তাকে সুনাগরিক করে তোলা, ভালো মানুষ করে তোল, দক্ষ ও যোগ্য মানুষ করে তোলা এবং প্রতিনিয়ত সে যাতে নিজেকে অতিক্রম করতে পারে তার জন্য ভেতরে প্রেরণা সঞ্চারিত করা। অন্যকে অতিক্রম করার দায় তার নয়। যখনই অন্যকে অতিক্রম করার জন্য তাকে বলা হবে তখন তার মধ্যে দানা বাঁধবে পরশ্রীকাতরাত ও প্রতিহিংসা। এই পথ আনন্দের নয়।

সে যথাসময়ে স্কুলে আসে কি না, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক-পরিচ্ছদ পরিদান করে কি না, যথাসময়ে ক্লাসরুমে থাকে কি না, ক্লাসে শিখন-শেখানোর বিচিত্র কর্মযজ্ঞে সে অনন্দের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে কি না, বিধি-বিধান অনুসরণ করে সহপাঠীদের সঙ্গে, শিক্ষকের সঙ্গে এবং প্রতিষ্ঠানের অন্য সদস্যদের সঙ্গে আচরণ করে কি না, খেলাধুলায় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে কি না, যেই বিষয়গুলোকে সে ভালোবাসে ও পছন্দ করে সেই বিষয়গুলোতে সে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় কি না এবং সর্বোপরি তার সৃষ্টিলতার জায়গাগুলো প্রশংসিত হচ্ছে কি না- এই বিষয়গুলো দেখভাল করাই হচ্ছে একজন শিক্ষকের প্রধানতম দায়িত্ব। সুতরাং স্পষ্টতই অনুধাবন করা যাচ্ছে যে, শিক্ষকদের কতটা মানবিক ও দক্ষ হওয়া দরকার।

পেপার-পেন্সিল টেস্টের ভেতর দিয়ে এই দায়িত্ব কিছুটা পালন করা যায়। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সবটুকু নয়। আমাদের শিক্ষকদের বুঝতে হবে যে, প্রতিনিয়ত শেখানো তাদের দায়িত্ব নয়। শিক্ষার্থীদের শেখার পদ্ধতি সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়েই শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এখন এমন এক সময় এসে আমরা উপস্থিত হয়েছি যখন জ্ঞানকাণ্ডগুলো বিকশিত হতে হতে বিপুল আকার ধারণ করেছে। সুতরাং এই বিপুল জ্ঞানকাণ্ডের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ শিক্ষকের নেই। সেই সময় শিক্ষকের নেই, সেই সময় শিক্ষার্থীরও নেই। তাহলে কেন শেখানোর জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা? আমার খুব মনে হয়, শেখানোর জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা না চালিয়ে যদি একজন শিক্ষার্থীকে শেখার পদ্ধতি সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায় তাহলে সারাটা জীবন সে শিখতে পারে। একটি উদাহরণ দিই। ধরা যাক শিক্ষার্থীদের কবিতা পড়ানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে পাঠ্যপুস্তুকে কয়েকটি কবিতা অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাহলে শিক্ষকের দায়িত্ব হলো পাঠ্যভুক্ত ওই কটি কবিতা কিভাবে পড়তে হবে সেই পথ বাতলিয়ে দেওয়া এবং ওই কয়টি কবিতা পাঠের ভেতর দিয়ে পরবর্তী জীবনে সে যেন সকল কবিতার পড়তে পাড়ে, বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারে সেই সামর্থ্য তৈরি করে দেওয়া। কেননা রাজ্যের সমস্ত কবিতা শিক্ষার্থীকে পড়িয়ে দেওয়ার কোন সুযোগ শিক্ষকের নেই। তেমনিভাবে জ্ঞানকাণ্ডের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষকের প্রয়োজন শিক্ষার্থীকে শেখার পদ্ধতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। জ্ঞানকাণ্ডের বিচিত্র শাখার সঙ্গে এই পরিচয়ের ফলে তার মধ্যে শেখার এক ধরনের প্রেরণা তৈরি হবে। কেননা কোন বিষয় কীভাবে শিখতে হয়- এই কৌশল তার জানা আছে। ফলে এক জীবন পড়াশোনা করার একটি সংস্কৃতি তার মধ্যে তৈরি হওয়া সম্ভব। যদি স্কুলজীবন থেকেই গ্রন্থপাঠের এই সংস্কৃতি তৈরি করা যায় তাহলে ইতোমধ্যে বৈপরীত্যের সঙ্গে বৈরিতার যে কথাগুলো বলা হলো সেগুলো অনেকাংশে কমে আসবে বলেই মনে হয়। পৃথিবীর যেসব দেশ শিক্ষাদীক্ষায়, জ্ঞানার্জনে, বিজ্ঞানচর্চায় ও মানবিকতার চর্চায় যথেষ্ট অগ্রগামী, সেই সব দেশে লোকালয়ে প্রচুর লাইব্রেরি থাকে এবং অধিবাসীরা সময় পেলেই লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনা করে এবং অধিকাংশ সময় তারা গ্রন্থপাঠের ভিতর দিয়ে অবসর সময় অতিবাহিত করে। যানবাহনে, স্টেশনগুলোতে এবং অবসর যাপনের কেন্দ্রগুলোতে এই দৃশ্য নিত্যদিনের। ফলে অনিবার্য হবেই তাদের মধ্যে যে বোধের উদ্বোধন ঘটে সেই বোধ মানবিক বোধ, সেই যৌক্তিকতার বোধ এবং সেই বোধ বিজ্ঞানমনস্কতার বোধ। আমরা যদি পারিবারিক ও শিক্ষাব্যবস্থার ভেতর দিয়ে এমন একটি প্রজন্ম তৈরি করতে পারি, তাহলে এখন সামাজিকভাবে যেসব বিতর্ক-বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোবৃত্তির পরিচয় পাওয়া যায় তা অনেকাংশে কমে আসবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়