প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪২
মতলব মেলার সভাপতির অভিনন্দন

মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলার ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কচি-কাঁচা দিবস উপলক্ষে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আবেগাপ্লুত। আজ থেকে ৫৭ বছর আগে ঐতিহ্যবাহী জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা’র শাখা মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলা’র জন্ম। একদিন দুরু দুরু বক্ষে যে সংগঠনের জন্ম হয়েছিল, তা হাঁটি হাঁটি পা পা করে অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে আজ পূর্ণাঙ্গ বিকশিত হতে চলেছে। আর তা সম্ভব হয়েছে মতলব মেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অতীত ও বর্তমান পৃষ্ঠপোষক, শুভানুধ্যায়ী, প্রবীণ/ তরুণ/ শিশু সদস্য ও মেলার ভাই-বোনদের অকুণ্ঠ আন্তরিক, কর্মোদ্যম, উৎসাহ প্রেরণার ফলে। তাছাড়া মাননীয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সমাজসেবীদের দানও অতুলনীয়। সংগঠনের প্রতি মতলববাসীর শুভেচ্ছা ও ভালবাসাও ছিল অপরীসীম। তাই এ স্মরণীয় মুহূর্তে আমরা যারপরনাই অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই।
‘শিশুরা প্রকৃতির মধুর উপহার’। ‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুর অন্তরে’। শিশুদের জন্য দরদী মন, ত্যাগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা যদি মহত্ত্বের সাধনায় আত্মনিয়োগ করতে পারি, তবেই সার্থক হবে কচি-কাঁচার মেলার আন্দোলন-এ লক্ষ্য সামনে রেখে মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলা ব্যাপক কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। আমরা আশা করি, কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, অসম্ভব শিশু দরদী, সাংবাদিক, সাহিত্যিক রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই-এর আদর্শে, পূর্ববর্তী পরিচালক/ সভাপতি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ও সভাপতি অধ্যাপক ড. রওশন আরা ফিরোজ-এর অনুপ্রেরণা ও বর্তমান সভাপতি খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামানের আন্তরিক তত্ত্বাবধানে মেলার প্রতিটি ভাই-বোন মেলার সংস্পর্শে এসে নিজেকে সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। মতলব মেলার ৫৭তম বছর পূর্তি ও অগ্রযাত্রায় অতীতের মত ভবিষ্যতেও সবার আন্তরিক সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা কামনা করি।
মো. মাকসুদুল হক বাবলু, সভাপতি, মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলা।







