প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৮
"আমি শীঘ্রই দেশে ফিরছি, কল রেকর্ড ফাঁস করে দেবো": রাজনৈতিক স্যাটায়ার নিয়ে আলোচনায় ‘৮৪০’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নতুন রাজনৈতিক স্যাটায়ার চলচ্চিত্র ‘৮৪০’ দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে চলচ্চিত্রের একটি সংলাপ— "আমি শীঘ্রই দেশে ফিরছি, কল রেকর্ড ফাঁস করে দেবো"— বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
|আরো খবর
‘৮৪০’ মূলত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৈরি একটি স্যাটায়ার। এটি দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতিকে তুলে ধরেছে। সিনেমায় বেশ কিছু বিতর্কিত দৃশ্য ও সংলাপ রয়েছে, যা দেখে দর্শকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
দর্শকদের প্রতিক্রিয়া:সিনেমাটি দেখে বের হওয়ার পর অনেক দর্শককে এই সংলাপ বলতে শোনা গেছে। দর্শকদের মতে, ‘৮৪০’ শুধু বিনোদন নয়, এটি বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার একটি দুঃসাহসী প্রতিবিম্ব।
এক দর্শক জানান, "সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা এবং রাজনীতিতে যেসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড হয়েছে, সেগুলোকে এমন উপস্থাপন করার সাহস দেখানো সত্যিই প্রশংসনীয়।"
অন্য একজন বলেন, "এটি কেবল একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি আমাদের সমাজের বাস্তবতার একটি প্রতিবিম্ব।"
পরিচালকের বক্তব্য:পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "‘৮৪০’ একটি গল্প হলেও এটি আমাদের চারপাশের বাস্তব ঘটনাবলীর সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত। এটি শুধুমাত্র বিনোদন নয়, এটি আমাদের সমাজের একটি আয়না।"
সংলাপের ব্যাখ্যা:সিনেমার বিতর্কিত সংলাপ— "আমি শীঘ্রই দেশে ফিরছি, কল রেকর্ড ফাঁস করে দেবো"— সম্পর্কে পরিচালক বলেন, "এই সংলাপ আমাদের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি দর্শকদের ভাবতে এবং প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করার জন্য যুক্ত করা হয়েছে।"
বাণিজ্যিক সাফল্য:সিনেমাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই বক্স অফিসে সাড়া ফেলেছে। ঢাকাসহ দেশের ১৫টি মানসম্মত প্রেক্ষাগৃহে এটি প্রদর্শিত হচ্ছে।
সমালোচনা ও বিতর্ক:সিনেমাটিকে কেন্দ্র করে কিছু রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তবে সমালোচকদের মতে, এটি ফারুকীর সেরা কাজগুলোর একটি।
‘৮৪০’ মুক্তির পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে এটি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। সিনেমার এমন সাহসী উপস্থাপনা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন অনেকে।