প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:১৫
সরকারি চাকরির আনন্দ ম্লান, যুবককে বন্দুক ঠেকিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে
বিহারের এক অদ্ভুত ও রোমাঞ্চকর ঘটনার সাক্ষী হলো দেশ। বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের অপেক্ষায় থাকা অবনীশ কুমারকে তার চাকরির আনন্দ উপভোগ করার আগেই পড়তে হলো অভাবনীয় পরিস্থিতিতে। গত শুক্রবার (স্থানীয় সময়) রিকশাযোগে স্কুলে যাওয়ার পথে বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে অপহরণ করা হয় এবং জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়।
|আরো খবর
অপহরণের ঘটনা
অবনীশকে অপহরণ করা হয় বেগুসরাই জেলার রাস্তায়, যখন তিনি রিকশায় স্কুলে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দুটি গাড়ি তার পথ আটকে দেয়। গাড়ি থেকে নামা ডজনখানেক অস্ত্রধারী ব্যক্তি তাকে বন্দুকের মুখে জিম্মি করে গাড়িতে তুলে নেয়।
জোরপূর্বক বিয়ের নেপথ্য কারণ
অবনীশের পরিবারের অভিযোগ, পাশের জেলা লক্ষীসরাইয়ের গুঞ্জন নামের এক মেয়ের সঙ্গে তার চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গুঞ্জন দাবি করেছেন, অবনীশ তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু চাকরি পাওয়ার পর তিনি সম্পর্ক থেকে সরে আসেন। এ কারণেই গুঞ্জনের পরিবারের সহযোগিতায় তাকে অপহরণ করে বিয়ে করানো হয়েছে।
গুঞ্জন বলেন, "চার বছর ধরে আমরা প্রেমের সম্পর্কে ছিলাম। আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে এখন পিছু হটতে চেয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে আমি এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি।"
পরিবারের প্রতিক্রিয়া
অবনীশের বাবা সুধাকর রাই এই ঘটনায় হতবাক। তিনি বলেন, "আমার ছেলে এমন সমস্যায় পড়বে, তা কল্পনাও করিনি। আমরা আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছি।"
বিয়ের পরবর্তী পরিস্থিতি
বিয়ের পর অবনীশকে তার চাকরি এবং সংসার সামলাতে হবে একসঙ্গে। তবে এই ঘটনা বিহারের একটি বহুল আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিহারে এমন জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা নতুন নয়; একে বলা হয় "পাকড়ুয়া বিবাহ"।
সরকারি চাকরি পাওয়া যুবকদের জন্য এটি যেন এক সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে!