রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৩৬

৩১ বছর ইমামতির পর ফুলসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিদায়

ফরিদগঞ্জে দু ইমামকে রাজকীয় বিদায় দিলো এলাকাবাসী

ফরিদগঞ্জে দু ইমামকে রাজকীয় বিদায় দিলো এলাকাবাসী
আলআমিন হোসাইন

চোখের পানি, শ্রদ্ধা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় মসজিদের দু ইমামকে রাজকীয় বিদায় জানিয়েছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ ৩১ বছর ইমামতি শেষে ঘোড়ার গাড়িতে করে রাজকীয় এই বিদায় দেয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন এলাকাবাসী। ব্যতিক্রমী এ বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সাহেবগঞ্জের বাইতুল আমান জামে মসজিদের ইমাম ক্বারী মাও. হারুনুর রশিদকে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে মুসল্লি ও এলাকাবাসী মিলে প্রথমে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা জানান। এ সময় নানা বয়সী মুসল্লি প্রিয় হুজুরকে উপহার তুলে দেন। পুরো আয়োজনকে ঘিরে অনুষ্ঠানস্থলে তৈরি হয় আবেগময় পরিবেশ। যে যেভাবে পেরেছে প্রিয় হুজুরের দোয়া নিতে মাথা পেতে দাঁড়িয়ে ছিলো। এরপর সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি করে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়।

একই দিন বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয় মসজিদের আরেক খতিব মাও. আবদুর রহিমকেও। 

জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে ক্বারী মাও. হারুনুর রশিদ ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সাহেবগঞ্জের বাইতুল আমান জামে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব নেন। তাঁর হাত ধরেই ১৯৯৯ সালে মসজিদের পাকা ভবন নির্মাণ হয়। দীর্ঘ ৩১ বছরের ইমামতিকালে এলাকার বহু ছেলে-মেয়ে তাঁর কাছে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। তাঁর বাড়ি একই উপজেলার হাঁসা গ্রামে। প্রিয় হুজুরের বিদায়ে আপ্লুত ছিলো সবাই। অনেকেই ছিলেন অশ্রুসিক্ত। এতো বছর ইমামতির পর নিজের এলাকায় একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর তিনি স্বেচ্ছায় ইমামতির পদ থেকে অব্যাহতি নেন। তাই এলাকাবাসী তাঁকে এ রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা জানান।

সংবর্ধিত খতিব মাও. আবদুর রহিম বলেন, দীর্ঘ সতের বছর এই মসজিদে খেদমত করার সুযোগ আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। এ সময় এলাকাবাসী আমাদের অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

সংবর্ধিত ইমাম ক্বারী মাও. হারুনুর রশিদ বলেন, বিদায়লগ্নে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে তা কল্পনা করিনি। এলাকাবাসীর এমন আয়োজনে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানান।

বাইতুল আমান জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান বলেন, আমরা দুজন যোগ্য ইমামকে আজ বিদায় দিচ্ছি। তাঁদের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টায় এলাকায় ইসলামের প্রচার ও প্রসার হয়েছে। আলোকিত হয়েছে বহু সন্তানের জীবন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়