প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:১১
এসইএল মডেল একাডেমীতে শিক্ষার মান উন্নয়নে সভা ও মেধাবৃত্তি প্রদান
মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায় দুর্বলতা উচ্চশিক্ষায় প্রভাব ফেলে
---ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি

মাহবুব আলম লাভলু।। মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান মাধ্যমিক স্তর নিয়ন্ত্রণ করে এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায় দুর্বলতা উচ্চশিক্ষায় প্রভাব ফেলে। জিপিএ-৫ পেয়েও অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছে না। শিক্ষার মানের অবস্থা বোঝার জন্য এটিও একটি বড়ো দৃষ্টান্ত। একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম তৈরি করা উচিত যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধ বিকশিত করে।
রোববার (১ ডিসেম্বর ২০২৫) মতলব উত্তর উপজেলার দি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড মডেল একাডেমীর (এসইএল) মডেল একাডেমীর ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার মান নিয়মিতভাবে মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ করা এবং শিক্ষার্থীদের শেখার অগ্রগতি নিরীক্ষণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সরকার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।
ইউএনও বলেন, এসইএল মডেল একাডেমী মাধ্যমিক স্তরে উপজেলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা খুবই যত্নবান এবং প্রতিষ্ঠাতাও অনেক আন্তরিক।
এসইএল মডেল একাডেমী'র প্রধান শিক্ষক মো. সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এসইএল মডেল একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ও রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আউয়াল। সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রহমত উল্লাহ, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল হক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক লিয়াকত আলী চৌধুরী খোকন, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শামসুজ্জামান ডলার, প্রাণ-প্রকৃতি পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মুখপাত্র ইবনুল সাইদ রানা।
এসইএল মডেল একাডেমীর ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নতুন ভবন উদ্বোধন, কেক কাটা, আলোচনা সভা, মেধাবৃত্তি প্রদান ও মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে ৩ বছর মেধাবৃত্তি প্রদান করবে।








