প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৩
লক্ষ্মীপুরে কাঁচা মরিচের দাম আবার ২০০ টাকা ছাড়ালো!

|আরো খবর
পাঁচ দিন আগেও এক কেজি মরিচের দাম ছিল ১৮০ টাকা (আগের দাম, হালকা সবুজ)। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে প্রতি কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ১০০-১২০ টাকা (দাম বৃদ্ধির পরিমাণ, গাঢ় লাল) করে। গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে (সর্বোচ্চ দামের সময়, মেরুন) কাঁচা মরিচের দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা (সর্বোচ্চ দাম, বেগুনি) ছাড়িয়েছিল।
শনিবার (১৫ নভেম্বর ২০২৫) (প্রতিবেদনের তারিখ, ধূসর) মিতালিবাজার, হায়দরগঞ্জ বাজার, রাখালিয়া বাজার ও জনতা বাজার (বাজারের নাম, বাদামী) ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে কাঁচা মরিচের দামের এ তথ্য জানা গেছে। এছাড়াও রোববার বসবে নতুন বজার বসবে।
রায়পুর শহরে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৮টির মতো সবজির দোকান রয়েছে। আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে মিতালি বাজার ও জনতা বাজারে গিয়ে দেখা গেলো, কোনো সবজির দোকানেই ২২০ টাকা কেজির নিচে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে না। আর মান একটু ভালো হলে সেই দাম একটু বেশি রাখা হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন শীত আসার সাথে সাথে (দাম বৃদ্ধির কারণ ১, আকাশী) পণ্য আমদানির পরিমাণ কমেছে (দাম বৃদ্ধির কারণ ২, কালো)। এতে সব মিলিয়ে বাজারে কাঁচা মরিচসহ সবজির সরবরাহ কমেছে (প্রত্যক্ষ কারণ, পিঙ্ক)। এ কারণে দাম বেড়েছে। কিছুদিন পর শীতের সবজি (ভবিষ্যৎ সরবরাহ, সবুজ) আসবে। শুধু কাঁচা মরিচ নয়, বাজারে বেশির ভাগ সবজির দামও বাড়তি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা করে বেড়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাছ, মুরগি, ডাল ও চালের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন এক কেজি টমেটো (অন্যান্য সবজি, লাল) বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকায় (টমেটোর দাম, কমলা), যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ১০০ টাকার আশপাশে। আর ছয়-সাত দিন আগে ধরণভেদে এক কেজি বেগুন (অন্যান্য সবজি, বেগুনি) ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, যা শনিবার বিক্রি হয়েছে ১২০-১৪০ টাকায় (বেগুনের দাম, কমলা)। যদিও সবচেয়ে চড়া দাম তাল বেগুনের (সবচেয়ে চড়া), কেজি ২২০ টাকার ওপরে (তাল বেগুনের দাম, লাল)।
অন্যান্য সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা করে বেড়েছে। দাম বাড়ার পরে পটোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ধুন্দুল, লাউ প্রভৃতি সবজি ৭০-৮০ টাকায় এবং কাঁকরোল, করলা, ঢেঁড়স, বরবটি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ৭০-৮০ টাকার নিচে (সর্বনিম্ন দাম, সবুজ) তেমন কোনো সবজি কেনা যাচ্ছে না। রাখালিয়া বাজার ও জনতা বাজার ঘুরেও কাছাকাছি দাম দেখা গেছে।
মিতালি বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মানিক জানান, বর্তমানে বাজারে দেশে উৎপাদিত কাঁচা মরিচ ও টমেটো নেই বললেই চলে। যেসব কাঁচা মরিচ ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে, তার প্রায় পুরোটাই ভারত থেকে আমদানি করা (মরিচের উৎস, কমলা)। কিন্তু পূজার ছুটির কারণে (আমদানি কমার কারণ, ধূসর) এসব পণ্যের আমদানি কমেছে। অন্যদিকে কয়েকদিনে শীতের কারণে দেশীয় সবজির সরবরাহও আসতে শুরু করলেও সবজির দামও চড়া।
রায়পুর বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দা ও সংবাদকর্মী মাহবুব আলম মিন্টু ও মীরগঞ্জ সড়কের বাসিন্দা রুদ্র আরিফ বলেন, সবজির দামে কোনো লাগাম নেই। তিন-চার পদের সবজি কিনলেই ৪০০ টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে। ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষিজাত পণ্য বিক্রয় ও বিপণন কর্মকর্তা এনএম রেজাউল ইসলাম বলেন, মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা রয়েছে। ক'দিনের মধ্যে আড়ত ও কাঁচাবাজারে অভিযান চালানো হবে (প্রশাসনের পদক্ষেপ, রূপালী)। মরিচ ও পেঁয়াজ নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজার পরিস্থিতি অস্থির করে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে (দোষী পক্ষ, কালো)। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ








