প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:২৮
চেম্বারের নির্দেশনা মানছে না পাইকাররা
চাঁদপুরেও অস্থির পেঁয়াজের বাজার ১০০ টাকা কেজি রাতারাতি ১৫০-১৭০ টাকা
চাঁদপুরের পাইকারি বাজারে এক দিনের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে অন্তত ৫০ টাকা বেড়েছে। কেউ কেউ দাম নিচ্ছে আরও বেশি।
শহরের পুরাণবাজার কয়েকজন চিহ্নিত পেঁয়াজের পাইকার তাদের কাছে দুই তিনটি করে ট্রাক ভর্তি পেঁয়াজ গুদামে উত্তোলন করার পরেও বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এর পর দাম বাড়িয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করে মুহূর্তের মধ্যে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারা হলেন মসজিদ পট্টির লোকমান বেপারী, মোস্তফা মোল্লা, রহমান,শামসু মোল্লা, ফরিদ হাফেজ প্রমুখ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য শনিবার বাজার মনিটরিং করেন।তারা আড়তদারদের শতকরা ১০ টাকা লাভে পেঁয়াজ বিক্রি করার জন্য ১২০ টাকা কেজি দাম বেঁধে দেয়। ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল পাটোয়ারী, আব্দুর রব শানু, লিয়াকত পাটোয়ারী, মোশারফ হোসেন মানিক মাঝি, চেম্বার এর পরিচালক গোপাল সাহা, পরেশ মালাকার এমনকি পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজীব শর্মাও সেখানে উপস্থিত থেকে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি না করার পরামর্শ দেয়। কিন্তু সেই কথা তারা রাখেনি। পাইকারি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ এবং ১৭০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করেছেন। অথচ তাদের এই পেঁয়াজ আগের দামে অর্থ্যা ৯০ টাকা থেকে ১০০৫ টাকা কেজি দরে কেনা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা ও এক নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মানিক মাঝি।
ভারত সরকার নিজের দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আগামী মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে শুক্রবার এমন খবর আসার পর থেকেই এই পণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দাম বাড়ার পর শনিবার সকাল থেকে পেঁয়াজের বাজার রীতিমতো তেতে উঠেছে।
দুপুরে শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একেক বাজারে বিক্রেতারা পেঁয়াজের একেক রকম দাম রাখছেন। বেশির ভাগ বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে মানভেদে ১৬০ থেকে ১৯০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি ও মান এখন ততটা ভালো না হওয়ায় অধিকাংশ ক্রেতাকে আমদানি করা পেঁয়াজ কিনতে দেখে গেছে।
প্রশাসনকে বাজার তদারকি করে পেঁয়াজ কেনার ভাউচার দেখে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নেওয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন সচেতন মহল।