প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৯:৪২
সোনাইমুড়ীতে দোকানঘরে অগ্নিসংযোগ করে দখল চেষ্টার অভিযোগ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া বাজারে দোকানঘরে অগ্নিসংযোগ করে দখলের চেষ্টা ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে দোকান ঘরের মালিক ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।
|আরো খবর
বুধবার (৩০ জুলাই ২০২৫) বিকেলে উপজেলার আমিশা পাড়া বাজারে পুড়ে যাওয়া দোকানে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের নিরাপত্তা দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে সাইফুল ইসলাম শিপন ও সৈয়দ মাহমুদ হাসান।
এ সময় ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম শিপন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইতালী নজরুল, দিদার এবং টিটু নামের কতিপয় ব্যক্তি আগুন দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। হামলাকারীরা ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করে তাদের দোকানঘর দখলের চেষ্টা করছে। বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। ইতোপূর্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফম বাবুল বাবু বিভিন্ন লোকজন দিয়ে দোকানটি দখল করার চেষ্টা করেছিলেন। আগুন নেয়ার ঘটনায় মামলার আসামীরা জামিনে এসে নানাভাবে হত্যাসহ আবারও দোকানঘর দখলের হুমকি দিচ্ছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মার্কেটের ব্যবসায়ী রতন দেব পাল জানান, আমি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে এই মার্কেটে স্টুডিও ও কনফেকশনারি ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছি। সাইফুল ইসলাম শিপনের সাথে চুক্তি করে নিয়মিত তাদেরকে ভাড়া দিয়ে আসছি। হঠাৎ আগুন লাগার পর থেকে দেখি নতুন একজন দখলদার এই দোকানটি দখল করার চেষ্টা করছেন।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, আমিশাপাড়া বাজারে তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত দোকানঘর জবরদখলের পাঁয়তারা চলছে। এর আগেও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সর্বশেষ গত ১৭ই এপ্রিল তাদের দোকানঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছেন : পশু-পাখি ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন কাজল, মুদি দোকানদার শহীদুল ইসলাম, স'মিল ব্যবসায়ী হুমায়ুন, মুদি ব্যবসাী লিটনসহ ৮ জন ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভুক্তভোগীরা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের এক স্বজন দাবি করে তার স্বজনেরা দুজন দেশের বাইরে রয়েছে এবং একজন জেলে রয়েছে। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নেই।
যোগাযোগ করা হলে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, দোকানঘর পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি আমার জানা নেই।