এটি কী হত্যা, নাকি আত্মহত্যা?

সদ্য প্রবাস ফেরত সুমন (৩৫)-এর লাশ উদ্ধারের ২ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ারে পরে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হয়নি। ইতিমধ্যে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তসহ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে। সুমন কী হত্যার শিকার হয়েছে? নাকি শুধুই আত্মহত্যা করেছে? এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক কানাঘুষা চলছে এটি কী হত্যা, নাকি আত্মহত্যা। এর আগে গত ২৪ আগস্ট দুপুরে সুমনের লাশ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত সুমন উপজেলার ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম দেশগাঁও গ্রামের সিংহের বাড়ির আবদুল মতিনের ৬ সন্তানের মধ্যে ৩য় সন্তান।

সুমনের পারিবারিক সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১ যুগ ওমানে থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরে আসে সুমন। বিয়ের জন্য পরিবার পাত্রী দেখা শুরু করেছে। এরই মধ্যে গত ২৩ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বাড়ির পাকা ঘাটলায় সুমনকে বসে থাকতে দেখেছে পরিবারের সদস্যরা। পরের দিন ২৪ আগস্ট প্রতিবেশী ডাঃ নুরুল আমিনের বাগানে সুমনের লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ আলামতসহ সুমনের (পায়ের জুতা, ফাঁস দেয়া রশি) লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

সুমনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুমন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার করার মতো ঘটনা কোন ঘটনা তাদের পরিবারে ঘটেনি। তবে ঘটনা যাই ঘটুক তারা সঠিক তদন্ত দাবি করছেন। তবে এখন পর্যন্ত সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।

মামলা হয়নি উল্লেখ করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ জানান, আমরা সাথে সাথে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি আর একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।