বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২১, ০০:১৮

পুরাণবাজারে জেলা টাস্কফোর্সের অভিযান : ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

৭ কোটি টাকার কারেন্ট জাল ও নিষিদ্ধ চায়না চাঁই জব্দ

বিমল চৌধুরী
৭ কোটি টাকার কারেন্ট জাল ও নিষিদ্ধ চায়না চাঁই জব্দ

পাইকারী সুতা ব্যবসা কেন্দ্র চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে অবৈধ কারেন্ট জাল ও নিষিদ্ধ চায়না চাঁই উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হাসান।

অভিযানে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড চাঁদপুরের ২২ সদস্যের একটি দল ও পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ৪ সদস্যের একটি দল। অভিযানে সুতা পট্টির ৩টি দোকান ও ২টি গোডাউনে মোট আনুমানিক ২০ লক্ষ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ১৫০ টি নিষিদ্ধ চায়না চাঁই জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্যে ৭ কোটি ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। গতকাল ১৪ আগস্ট শনিবার দুপুরে প্রায় ৪ ঘন্টাব্যাপী এই অভিযান পরিচালিত হয়।

এ সময় কোস্টগার্ডের ব্যাপক উপস্থিতিতে কয়েকজন সুতা ব্যবসায়ী তাদের দোকানপাট খোলা রেখেই গা ঢাকা দেন। অভিযান চলাকালীন নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও নিষিদ্ধ চায়না চাঁইসহ ৩টি প্রতিষ্ঠানের ৩ কর্মচারীকে আটক করা গেলেও অপর ২ প্রতিষ্ঠানের কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। পরে আটককৃত ৩ জনকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হাসান মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ মোতাবেক জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১৫হাজার টাকা মোবাইল কোর্ট আইনে অর্থদণ্ড করেন। জব্দকৃত মালামাল কোস্টগার্ড, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, চাঁদপুর সদরের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুতা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আপনারা বৈধ উপায়ে ব্যবসা করুন। যাতে আপনাদের দ্বারা দেশ ও মানুষ ক্ষতির শিকার না হন। আপনারা যদি অবৈধ এ সকল কারেন্ট জাল বিক্রি না করতেন, তাহলে দেশের মানুষ মৎস্য সম্পদ থেকে বঞ্চিত হতো না। দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। তিনি দুঃখ করে বলেন, আপনাদের মত গুটি কয়েক ব্যাবসায়ীর জন্য মৎস্য মৌসুমেও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। আপনারা যদি সচেতন হতেন তাহলে দেশে মাছের অভাব হতো না, আর আমাদেরকেও এভাবে আপনাদের কাছে ছুটে আসতে হতো না। তিনি সকলকে অনুরোধ জানান, যাতে কেউ এ ধরনের অপরাধমূলক ব্যবসার সাথে জড়িত না হন। জনস্বার্থে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জেলা প্রশাসনের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়