প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৫০
১টি বসতবাড়িসহ দশটি দোকান পুড়ে ছাই
আমিরাবাদ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় কোটি টাকা ক্ষয়-ক্ষতি
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে একটি বসতবাড়িসহ দশটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার ১৮ ডিসেম্বর সাড়ে বারটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ফায়ার সার্ভিসসহ এলাকার সকল লোকজনের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
|আরো খবর
বাজারের ব্যবসায়ী স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল গাজী জানান, দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় হঠাৎ করেই আগুনের সূত্রপাত হয় পরে মুহূূর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং ১টি বসতঘরসহ বাজারের ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে পাটের গুদাম, ওয়ার্কশপ, লেপ তোশকের দোকান, কাঠের দোকান, রেস্টুরেন্ট, কনফেকশনারী, কসমেটিকস দোকান ও ১টি বসত ঘর রয়েছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাদের। যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারা হলো : আলী খান, আসলাস, মিল্টন, সারোয়ার হোসেন, আল-আমিন, শাহিন মোল্লা, মোখলেছুর রহমানসহ আরো অনেকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, মতলব উত্তর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। যত শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে আমরা ব্যবসায়ীরা তত নিরাপদ থাকবো। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে অনুরোধ প্রয়োজনীয় জনবল এবং অগ্নি নির্বাপণ কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি প্রদান করে অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে জানমাল রক্ষা করতে অনুরোধ জানান।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আফরোজা হাবিব শাপলা, উপ-পুলিশ পরিদর্শক প্রকাশ প্রণয় দে, আউয়াল, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রেজাউল করিম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত হার্ডওয়্যার দোকানের মালিক আল-আমিন তপাদার জানান, প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল, আমি এখন নিস্ব। পাশের দোকানদার মোজাম্মেল বলেন, আমার দোকানের ২ লাখ টাকার মাল পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। কাঠের দোকান মালিক সরোয়ার জানান, তার দোকানের ১০ লাখ টাকার মালামাল ছিল যা পুড়ে যায়। গুদাম মালিক আসলাম জানান, তার দোকানের ৭ লাখ টাকার মালামাল ছিল যা পুরে যায়। লেপ তোশকের দোকান মালিক আলী জানান, তার দোকানের ৩ লাখ টাকার মালামাল ছিল যা পুড়ে যায়। এছাড়াও আশেপাশের কয়েকটি দোকানের মালামাল ক্ষতি হয়েছে।
চাঁদপুর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রবিউল বলেন, খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ১৭ জনের একটি টিম নিয়ে মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টায় ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়েছি। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত স্বপেক্ষে জানা যাবে।
ফরাজীকান্দি ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, একটি বসতবাড়িসহ দশটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সুনির্দিষ্ট তদন্তের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কীভাবে সরকারিভাবে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সরকারের অন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে দাবি রইলো।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।