শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১৪:১৮

মতলব উত্তরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কেন্দ্র

প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ব্যালটে সিল মারতে থাকেন

কেড়ে নেয়া হলো সাংবাদিকের ক্যামেরা

প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ব্যালটে সিল মারতে থাকেন
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট

কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ব্যালটে সীল মেরে ভোট ডাকাতির জঘন্যতম দৃশ্য দেখালেন। আর এ দৃশ্য ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে সব ছবি ডিলেট করে ফেললেন প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার দুজনেই।

এখানেই শেষ নয়, উভয় কর্মকর্তাই সন্ত্রাসী কায়দায় হুমকি দিয়ে ওই সাংবাদিককে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। এমন কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটলো মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মধ্য ইসলামাবাদ মাদ্রাসা কেন্দ্রে।

আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে এমন ঘটনার দৃশ্য দেখা গেলো ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে।

ঘটনার আরো ন্যাক্কারজনক পর্ব রয়েছে। সেটি হলো প্রিজাইডিং অফিসারের রুমটি হলো মসজিদে। জুতা পায়েই প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে মসজিদ কাম প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে ওই কলঙ্কজনক কাজটি (ভোট ডাকাতি) করতে দেখা গেলো।

প্রিজাইডিং অফিসার হচ্ছেন মতলব উত্তর উপজেলার আমিয়াপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ ফারুক আহম্মদ এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী মামুন (তাৎক্ষণিক নাম পরিচয় যতটুকু জানা)।

সকাল ১০টার দিকে ওই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেলো ভিন্ন রকমের চিত্র। ছোট্ট দুটি রুমের একটা ঘরে চলছে ভোটগ্রহণের কার্যক্রম।

স্থানীয় ভোটারদের কাছ থেকে জানা গেলো এটা একটা মক্তব। ছোট্ট একটা ঘর, ভোট কেন্দ্র হওয়ার মতো কোনোভাবেই এটা উপযোগী নয়। অথচ তখন কেন্দ্রের বাইরে ভোটারের দীর্ঘ লাইন। মক্তব কাম কেন্দ্রের সামনে রয়েছে দোতলা একটা মসজিদ।

কেন্দ্রের দায়িত্বরত আনসার সদস্যের কাছে প্রিজাইডিং অফিসারের রুম কোথায় জানতে চাইলে একজন মসজিদের দোতলায় দেখিয়ে দেয়। নিচ থেকে সিঁড়ি বেয়ে মসজিদের দোতলায় গিয়েই দেথা গেলো ভোট ডাকাতি এবং মসজিদকে অপবিত্র করার জঘন্যতম দৃশ্য। প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার উভয়কেই দেখা গেলো জুতা পায়ে দেয়া অবস্থায় ব্যালটে সিল মারছেন।

এমন দৃশ্য ধারণ করার পর সাথে সাথে ওই দুই কর্মকর্তা খুব ক্ষেপে গিয়ে এই প্রতিবেদকের দিকে তেড়ে আসেন এবং কেনো ছবি তোলা হলো এ জন্য মোবাইল কেড়ে নিয়ে গালাগালি করতে থাকেন। তখন তারা মোবাইল থেকে সব ছবি ডিলেট করে দেন। ডিলেট করেই তারা ক্ষ্যান্ত হন নি।

এই প্রতিবেদকের উপর চড়াও হন কেনো উপরে তথা প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে ঢুকলো। তাদের হুমকি ধমকির আওয়াজ শুনে নিচ থেকে পুলিশ এসে এই প্রতিবেদককে এবং তার মোবাইলটি তাদের থেকে উদ্ধার করে কোনো রকম তাদের রোষানল থেকে রক্ষা করেন।

ঘটনার পর রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ঘটনা জানানো হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়