প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২১, ২০:০১
ফরিদগঞ্জে ময়লার ভাগাড় ও বালুর ব্যবসায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪নং সুবিদপুর ইউনিয়নের ১৭৮নং উটতলী নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা গরুর ফার্মের ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধে ও বালু ব্যবসায়ীদের ধুলাবালির কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
|আরো খবর
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একেবারেই বিদ্যালয়টির পাশে স্থানীয় মোঃ হেলাল গরুর ফার্ম দিয়ে রেখেছে। গরুর ফার্মের সমস্ত মলমূত্র এবং ময়লা-আবর্জনা স্কুলের মাঠের পাশেই অযত্ন-অবহেলায় ফেলে রেখেছে। বছরের-পর-বছর এভাবে ময়লা ফেলে রাখায় ময়লার স্তুপ থেকে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ। প্রচণ্ড দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
এছাড়া একই ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বার রুহুল আমিন মুন্সি ও এলাকার নয়ন মজুমদারের বালুর ব্যবসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির মাঠের পূর্ব পাশে লাগোয়া। যার কারণে প্রতিনিয়ত বালু নিতে আসা বিভিন্ন ট্রাক-লরি এবং পিকআপের দোয়ায় ও বালু উড়ে গিয়ে বিদ্যালয় এলাকার বায়ু দূষিত করে তুলছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে ঘেষে যাওয়া উবারামপুর রাস্তা। যার কারনে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় অসংখ্য যানবাহন চলাচলের কারণে ধূলাবালিতে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার বলেন, গরুর মলমূত্রের প্রচন্ড দুর্গন্ধে এবং বিদ্যালয়ের একেবারেই পাশে বালুর ব্যবসা থাকার কারণে প্রতিনিয়ত ধূলাবালু বিদ্যালয়ের পরিবেশ দূষিত করে তুলছে। যার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। তিনি বিদ্যালয়ের পাশে থাকা ময়লার ভাগাড় এবং বালুর ব্যবসা দ্রুত অপসারণের দাবি জানান। এছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের অন্য কোন সমস্যা না থাকলেও বিদ্যালয়ের পাশে বাউন্ডারি ওয়াল করে দেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি, লক্ষ্মীপুর কাসেমিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আবুল খায়েরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হেলালের গরুর ফার্মের মলমূত্র এবং বালু ব্যবসায়ীদের ধূলাবালির কারণে আমার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া বালু ব্যবসায়ীদের ধূলাবালির কারণে এলাকার অসংখ্য মানুষের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে বলে তিনি জানান। বিদ্যালয়ের কাছ থেকে এসব অপসারণ করার জন্য তিনি মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
বিষয়গুলো নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার সুধীজন ও অভিভাবকসহ সবাই মিলে আলোচনা সাপেক্ষে যেটা ভাল হয় সেটা করার জন্য আমি নির্দেশ প্রদান করেছি।