মঙ্গলবার, ০৬ মে, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৫, ২১:১৫

গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যুব মজলিসের বিক্ষোভ

গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যুব মজলিসের বিক্ষোভ
অনলাইন ডেস্ক

২০১৩ সালে শাপলা চত্বর ও ২০২৪ সালে সংঘটিত গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে চাঁদপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে (৫ মে ২০২৫) চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বরে বাইতুল আমিন জামে মসজিদের সামনে মিছিলপূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা তারেক হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নূরে আলম। বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক ক্বারী শাহাদাত হোসাইনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম, চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু হুরাইরা, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু ইউসুফ হামিদ।

বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৩ সালে ঢাকা শাপলা চত্বরে নির্বিচারে আলেম-ওলামা এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের হত্যা করেছে। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর দেশে গুম, খুন, হত্যা, লুটপাট চালিয়েছিল। কাজেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। ৫ আগস্টের পর স্বৈরাচার বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের নেতা- কর্মীদের মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা কর্মীদের মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। অবিলম্বে এ সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশ থেকে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের পক্ষে কথা বলা আলেম-উলামাদের নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলো। তাদের নেতারা বলেছিলো, আল্লামা মামুনুল হকসহ অসংখ্য আলেমকে তারা বাংলাদেশে থাকতে দিবে না। অথচ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নেতারা ভারত থেকে দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তারা এখন গুজব লীগ ও জঙ্গি লীগে পরিণত হয়েছে। তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান বলেছেন, আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করবে কি না সেটি তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমরা মনে করি আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত এ দেশের জনগণ নিবে। ৫ আগস্ট এ দেশের ছাত্র জনতা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে যে, আওয়ামী লীগ এ দেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না। কারণ, এদেশের ইতিহাসে আর কোনো স্বৈরশাসক অভ্যুত্থানের পর দেশ থেকে পালিয়ে যায়নি।

বিক্ষোভ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা যুব মজলিসের সহ-সভাপতি মাওলানা ফজলুল করিম, প্রচার বিভাগের সম্পাদক মাওলানা হামিম, সংগঠক বিভাগের সম্পাদক হাফেজ মোজাম্মেল হোসাইন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শাহিদুল ইসলাম, জেলা প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, জেলা মজলিসে আমেলা সদস্য মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ ইসমাইলসহ আরো অনেকে।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল শপথ চত্বর থেকে বের হয়ে জোড়পুকুর পাড়, নতুন বাজার এবং ছায়াবাণী মোড় হয়ে হাসান আলী স্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি হাফেজ নেয়ামত হোসাইন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়