প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:২৬
ফরিদগঞ্জে জেলা ওলামা লীগের সভাপতিকে মাদ্রাসা সভাপতি থেকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

চাঁদপুর জেলা ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা আ. কাদেরকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম লাড়ুয়া কেরামতিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি করার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর বাজারে সচেতন নাগরিক কমিটির ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাও. আব্দুল কাদের পতিত আওয়ামী লীগের দোসর। তিনি বিগত ১৭ বছর ওলামা লীগের পদবী ব্যবহার করে এলাকার মানুষজনকে হয়রানি, শিক্ষকদের চাকুরিচ্যুত ও মাদ্রাসায় লুটপাট করেছেন। এই মাদ্রাসায় সুপারের দায়িত্ব পালনকালে তিনি অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটিকে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু কোন্ অপশক্তির কারণে তিনি আবার পশ্চিম লাড়ুয়া কেরামতিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি নির্বাচিত হলেন? আমরা অবিলম্বে তার অপসারণ দাাবি করছি। নাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবো।
তারা বলেন, মাও. আব্দুল কাদের মাদ্রাসা সুপার হিসেবে প্রতিষ্ঠানের কোনো উন্নতি করেন নি। বরং প্রতিষ্ঠানটি দিনের পর দিন নিম্নগামী হয়েছে। শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রতি বছরই হ্রাস পেয়েছে। পড়লেখার মানও ভাল ছিলো না। তিনি মাদ্রাসার পরিবর্তে দলীয় কাজে সময় দিতে গিয়ে মাদ্রাসার বারোটা বাজিয়েছেন। তাই আমরা আ. কাদেরকে কোনো ভাবেই এই মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই না।
মানববন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন মাসুদ রানা, সুমন বেপারী, খলিল পাটওয়ারী, হাসান ভূঁইয়া, নয়ন বেপারী, মো. দুলাল বেপারী, মোক্তার হেসেন, হান্নান মুন্সী, আ. রশিদ হাজী, মো. মানিক হোসেন,
নুরু বেপারী, ইউনিয়ন স্বেচ্ছসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন বেপারী, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদ হাসান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক গঠিত এডহক কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। এরই মধ্যে গত ২৩ এপ্রিল মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুছ ছাত্তার মিয়া স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন (স্মারক নং-বামাশিবো/প্রশা/২৩১২৫১০৩৬২১১/১০৯২৪০/নথি নং- ১০৩) অনুযায়ী মো. আব্দুল কাদের মিয়াকে সভাপতি করে পরবর্তী ৬ মাসের জন্যে এডহক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন : শিক্ষক প্রতিনিধি মো. ইউনুছ পাটওয়ারী, অভিভাবক প্রতিনিধি শাহীন মাহমুদ ও মাদ্রাসা সুপার।